‘এক মহিলার মোহেই অধঃপতনের পথে শোভন, মমতার পরামর্শও কানে তোলেননি’
কোন মোহে পড়ে নিজের রাজনৈতিক সত্ত্বার বিসর্জন দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? সে উত্তর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সাফ। তাঁর জবাব, এক মহিলার মোহেই সব শেষ।
কোন মোহে পড়ে নিজের রাজনৈতিক সত্ত্বার বিসর্জন দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? সে উত্তর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সাফ। তাঁর জবাব, এক মহিলার মোহেই সব শেষ। যে শোভনের কাছে সবার আগে ছিল রাজনীতি, কিন্তু এমনই মোহে পড়লেন একে একে নিজের রাজনৈতিক জীবনকে শেষ করে দিলেন। মোহই পতনের কারণ হয়ে উঠল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, দিদি অনেক সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু নিজেকে শুধরে নিতে পারেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। এক মহিলার মোহেই সব শেষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে অনেক বুঝিয়েছিলেন, কাজে মনে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও পরামর্শই কর্ণগোচর করেননি শোভন।
রত্না বলেন, শোভনের পতন আগে থেকেই সূচিত হয়েছিল। আমি ২২ বছর ঘর করেছি শোভনের সঙ্গে। কিন্তু তখন যে শোভনকে দেখেছি, এখনকার শোভনের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। সেই শোভন ছিল কাজ অন্ত প্রাণ। সবার আগে ছিল রাজনীতি। তারপর ছিল সংসার। আমরাও তাঁকে দেশের কাছে, দশের কাজে ছেড়ে দিয়েছিলাম।
[আরও পড়ুন: 'একা' শোভনের ছেড়ে যাওয়া পদে বসছেন কারা, ইস্তফার পরই চূড়ান্ত করলেন মমতা ]
কিন্তু তারপর দেখলাম একজন মহিলার পাল্লায় পড়ে কীভাবে অধঃপতনের পথে ছুটে চললেন তিনি। কোনও ভালো কথাই তাঁর কানে পৌঁছল না। এখনও বলব, ওঁর শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আমার বিশ্বাস এখনও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ধরে ক্ষমা চান শোভন, তবে সব ঠিক হয়ে যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: মাত্র ১০ মিনিট কথা, জল্পনায় ইতি ঘটিয়ে শোভনের ইস্তফা, মেয়র পদও ছাড়ার নির্দেশ]
শোভনের শ্বশুর তথা মহেশতলা কেন্দ্রের বিধায়ক দুলাল দাস বলেন, কৃতকর্মের ফল ভুগছেন শোভন। ওঁকে দেখে আজ দুঃখ হচ্ছে। আমি শুধু বলব ওঁর বোধদয় হোক। শুভ বুদ্ধি জাগ্রত হোক ওঁর। আমার মেয়ের সঙ্গে থাকতে হবে না। কিন্তু নিজের পায়ে কুড়ুল মারল, তা বুঝেও বুঝছে না শোভন। দিলীপ ঘোষ বলেন, মেয়র পদ থেকে শোভনের ইস্তফায় কলকাতার মানুষ হাফ ছেড়ে বাঁচবে।
[আরও পড়ুন: মেয়র পদও ছাড়তে চলেছেন শোভন! মন্ত্রিত্বে ইস্তফার পর তৃণমূলে বিচ্ছেদ জল্পনা তুঙ্গে]