কেন জানি না, বদলে গেছে শোভন! অভিমানী রত্না, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে ঘটল বিস্ফোরণও
কিছুতেই বরফ গলল না। তাই শেষমেশ রত্না উগরে দিলেন স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জমে থাকা সমস্ত অভিমান। বললেন, কেন জানি না বদলে গেল শোভন!
বারবার সমঝোতা প্রস্তাব দিয়েছেন শোভন-পত্নী রত্না। এমনকী ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগাতে দুজনে মিলে কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়ার অভিপ্রায়ও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই বরফ গলল না। তাই শেষমেশ রত্না উগরে দিলেন স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জমে থাকা সমস্ত অভিমান। বললেন, কেন জানি না বদলে গেল শোভন! এমনটা তো ছিলেন না শোভন!
[আরও পড়ুন:দিলীপ ঘোষ উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন! মানসিক চিকিৎসার পরামর্শ দিলেন পার্থ]
রত্নার কথায়, শোভন এমন একটা মানুষ ছিলেন, যার সঙ্গে নির্দ্বিধায় সারাটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যেত। সেই মানুষটাকে ভালোবেসেই তো বিয়ে করেছিলাম। সংকল্প করেছিলাম একসঙ্গে সারা জীবন কাটানোর। কিন্তু হঠাৎ করেই শোভন যেন বদলে গেল। লন্ডন থেকে ফিরে এসে দেখলাম শোভন একেবারেই অন্য একটা মানুষ। তবু আমি সব কিছু মেনে নিয়ে ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতে রাজি হয়েছি। কিন্তু শোভনের তরফে কোনও সাড়া মিলছে না। তিনি অভিমানে এদিন এমন কথাও বলেন, ঠিক আছে, শোভনকে কাশ্মীর যেতে হবে না, উনি কলকাতাতেই থাকুন।
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি বিস্ফোরক তোপও দাগেন। বলেন, ২২ বছর ধরে তিনি আমাকে বিশ্বাস করে তাঁর যাবতীয় হিসেব-নিকেশের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি হঠাৎ করেই আমার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ করলেন। আমি নাকি তাঁর টাকা নয়ছয় করেছি। আর শোভনবাবুর কত টাকা আছে, যে নয়ছয় করব। আমার পরিবারে তাঁকে অর্থ সাহায্য করেছিল। আর যদি শোভনবাবুর অনেক টাকাই থেকে থাকে, তাহলে ইডিকে ডেকে জানান না!
এরপরই তিনি বলেন, এখন সময় আছে। শোভন ফিরে আসুক, আমি এটাই চাই। আমার জন্য না হোক, সন্তানদের জন্য শোভনের ফিরে আসা জরুরি। আমি না হয় বিশ্বাসভঙ্গ করেছি, কিন্তু সন্তানরা তো বিশ্বাসভঙ্গ করেনি। তাহলে কেন সন্তানদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ বন্ধ করেছেন?
এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, শোভন অন্যের কথা শুনে এসব করছে। অন্য কেউ ভুল বোঝাচ্ছে ওকে। তাঁরাই শিখিয়ে দিচ্ছে। রত্নার এই অভিযোগের জবাব দিতে শেষমেশ মুখ খুলেছেন শোভন। তিনি জানান, আমি বাচ্চা ছেলে নই যে, আমাকে কেউ শিখিয়ে দিচ্ছে। আমি যা করছি, নিজে থেকেই করছি, জেনে-বুঝেই করছি। স্বেচ্ছায় আমি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছি। সেই কারণেই আমি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করি। এর মধ্যে অন্য কারও ভূমিকা নেই। রত্না এসব মনগড়া অভিযোগ করছে।
[আরও পড়ুন: খেলা ঘুরে গিয়েছে, তাই তৃণমূলের ক্যাডার হয়েছে পুলিশ, পঞ্চায়েত-যুদ্ধে খোঁচা দিলীপের]