বিয়ে করলে বেল, না করলে জেল! শর্ত আরোপে প্রেম পরিণতি পেল কাঠগড়ায়
ফেসবুকে পরিচয়। তারপর জমজমাট প্রেম। সেই প্রেম যখন পরিণতির লক্ষ্যে এগোতে শুরু করে তখনই ঘটে বিপত্তি। ঝড়-ঝঞ্ঝা কাটিয়ে আদালতে পরিণতি প্রায় প্রেম।
ফেসবুকে পরিচয়। তারপর জমজমাট প্রেম। সেই প্রেম যখন পরিণতির লক্ষ্যে এগোতে শুরু করে তখনই ঘটে বিপত্তি। শ্রীরামপুরের তরুণী প্রেমিকের ডাক পেয়েই পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে। তারপর সেখানেই জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যথারীতি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পর বিয়েতে আপত্তির অভিযোগ ওঠে।
[আরও পড়ুন: বিধায়করাও এখন ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়! দুই ঘটনায় তাজ্জব রাজ্যের প্রশাসন ]
এরপর হাইকোর্টে মামলা গড়ানোর পরই নাটক পৌঁছে যায় একেবারে পঞ্চম অঙ্কে। সেখানে উভয়পক্ষের সওয়াল শোনার পর বিচারপতির শর্ত দেন ধর্ষককে। বিয়ে করলে মিলবে বেল, না হলে কাটাতে হবে জেলে। এরপরই শর্তের সঙ্গে বিচারপতি ধমকও দেন ধর্ষককে। শেষমেশ বিয়েতে রাজি হওয়ায় জামিন পান অভিযুক্ত যুবক।
এদিন বিচারপরি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলায় অভিযোগকারিনী তরুণী নিজেই সওয়াল করেন। আর অভিযুক্তের তরফে সওয়াল করেন অভিযুক্তের জামাইবাবু। বিচারপতির দেওয়া শর্ত মেনে নেওয়ায় ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হয় অভিযুক্ত যুবক রবিকে।
দুই পরিবারকে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক শ্রীরামপুর পুরসভা এলাকার বাইরে যেতে পারবে না বলেও শর্ত আরোপ করা হয়। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের দাবি তাঁদের ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্বাসভঙ্গের পর আদালতের ধমকে আর শাস্তির ভয়ে কি কোনও সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে! তবু সামাজিক স্বীকৃতির কথা চিন্তা করে আদালতের এই উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:মাধ্যমিকের প্রশ্ন-জালিয়াতিকাণ্ডে শাস্তির মুখে প্রধান শিক্ষক! চাপ বাড়ল সহকারীর এফআইআর-এ]