বগটুই-কাণ্ডে সাক্ষীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা! সরকারের জবাব তলব হাইকোর্টের
রামপুরহাট-কাণ্ডে নয়া মোড়! ফের নতুন করে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। সাক্ষীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগ। সম্প্রতি মামলার শুনানিতে এমনটাই প্রশ্ন তুলেছিলেন বগটুই-কাণ্ডের মামলাকারীর আইনজীবী। আর সেই মা
রামপুরহাট-কাণ্ডে নয়া মোড়! ফের নতুন করে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। সাক্ষীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগ। সম্প্রতি মামলার শুনানিতে এমনটাই প্রশ্ন তুলেছিলেন বগটুই-কাণ্ডের মামলাকারীর আইনজীবী। আর সেই মামলায় রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যেকে এই বিষয়ে হলফনামা আকারে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আজ সোমবার বগটুই-য়ে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আর সেখানেই এই সংক্রান্ত মামলার দীর্ঘ শুনানি হয়। একাধিক বিষয় উঠে আসে সওয়াল জবাবে।
বিশেষ করে এদিন সওয়ালে বগটুই মামলার আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই বিষয়ে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, রামপুরহাট-কান্ডের পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন বলেও আদালতকে তথ্য দেন। কিন্তু কার সঙ্গে আলোচনা করে ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে? এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
শুধু তাই নয়, এতে সাক্ষীরা প্রভাবিত হতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে পালটা বক্তব্য রাখেন রাজ্যের আইনজীবীরাও। দীর্ঘ দুই পক্ষের বক্তব্যের শুনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা-সহ জবাব পেশের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।
প্রায় কয়েকদিন কেটে গিয়েছে রামপুরহাট-কাণ্ডের। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের খুনের পরেই জ্বলে ওঠে বগটুই গ্রাম। একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় একাধিকের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ক্ষতিগ্রস্থদের চাকরি এবং ক্ষতিপূরণ দেন।
আর তাতেই বিতর্কের সূত্রপাত। ইতিমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। আর এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ক্ষতিপূরণ দেওয়াকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় বিতর্ক। অন্যদিকে রামপুরহাটের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কিন্তু এখনও ঘটনার মূল অভিযুক্ত লালন শেখের নাগাল পাননি তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে ভাদু শেখের খুনেরও তদন্ত করছে সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশেই দুটি ঘটনারই তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে ভাদু শেখের খুনের রাতে ঠিক কি ঘটেছিল সেই সংক্রান্ত তথ্য সামনে এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছেন আধিকারিকরা। আর সেটাই তদন্তের অনযতম হাতিয়ার হতে চলেছে বলেই খবর।