বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই কি আইনজীবী খুন! জেরায় জেরবার স্ত্রী আটক
আইনজীবী রজত দে-র মৃত্যু-রহস্যের উন্মোচনে মিসিং লিঙ্কের খোঁজ করতে যখন ব্যস্ত তদন্তকারীরা, তখনই বারবার বয়ান বদল রজতের স্ত্রীর। অবশেষে অনিন্দিতাকে আটক করল বিধাননগর পুলিশ।
আইনজীবী রজত দে-র মৃত্যু-রহস্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসারপরই নয়া মোড় নিয়েছিল। এই মৃত্যু-রহস্যের উন্মোচনে মিসিং লিঙ্কের খোঁজ করতে যখন ব্যস্ত তদন্তকারীরা, তখনই বারবার বয়ান বদল রজতের স্ত্রীর। তার জেরে ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় অনিন্দিতাকে আটক করল বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশ।
অনিন্দিতা বয়ান বদলে জানায়, রজন আত্মহত্যা করেছে। ভয়ে সে একথা বলতে পারেনি। কিন্তু আত্মহত্যার কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও তেমন কিছু উঠে আসেনি। রিপোর্টে প্রকাশ, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর গলায় সরু দাগ পাওয়া গিয়েছে। এরপরই দফায় দফায় জেরার পর এদিন মৃত রজতের স্ত্রীকে আটক করা হয়।
শনিবার সকালে বিধাননগর পুলিশ কমিশনার বিজে গিয়ে জেরা করেন অনিন্দিতাকে। তারপরই তাঁকে আটক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে দফায় দফায় জেরা শুরু হয়। উল্লেখ্য, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও অনুমান রজতের রহস্যমৃত্যু আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুনই করা হয়েছে। ফলে ঘটনার চারদিন পর খুনের মামলাও রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃত আইনজীবীর স্ত্রী, শ্যালক-সহ চারজনকে জেরা করছিল পুলিশ। এই ঘটনায় অনিন্দিতাকেই প্রথম আটক করা হল।
শনিবার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে মারা যান কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রজত কুমার দে। এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে রজতের পরিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তদন্ত মোড় নেয় অন্যদিকে। অনিন্দিতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে পড়ে। উঠে পড়েছে বেশ কিছু প্রশ্ন। ঘটনার দিন রাতে ওই ফ্ল্যাটে শুধু রজত আর তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা ছিলেন। কেন তাঁর ছেলে ও পোষ্যকে বাপের বাড়িতে রেখে আসা হল?
রজতের মৃত্যুর পর অনিন্দিতা আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করতে চাইলেও আত্মহত্যার কোনও প্রমাণই পাওয়া যায়নি। তারপর অনিন্দিতার ফোন কল নিয়েও সংশয় ধরা পড়ে। ফোনে দীর্ঘক্ষণ এক চিকিৎসক বন্ধুর সঙ্গে তিনি কথা বলতেন বলে জানা গিয়েছে। সেই বন্ধু কে, তা জানতে চাইছে পুলিশ। অনিন্দিতার প্রাক্তন স্বামীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে অনিন্দিতার ফোনের কল লিস্ট।