‘বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম তাড়াবই’! মমতার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগে সরব রাহুল
বর্তমানের পথ ধরে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা এবার নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুললেন। শুধু দ্বিচারিতার অভিযোগই নয়, বিজেপি এবার বিরুদ্ধে পথে নামতেও চলেছে।
এ রাজ্যেও এনআরসি করে গলাধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশিদের তাড়ানোর বার্তা দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বর্তমানের পথ ধরে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা এবার নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুললেন। শুধু দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত নন তিনি, বিজেপি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পথে নামতে চলেছে।
রাজ্য বিজেপির তরফে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতার মিছিলের ডাক দিয়েছে। সেই মিছিলে সামিল হবে যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু-মুখো অবস্থান নিয়েই বিজেপি সরব হতে বদ্ধপরিকর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চাইছে বিজেপি। তাঁর সেই বিবৃতির জবাব দেওয়া হবে রাস্তায় নেমে।
রাহুল সিনহা বলেন, ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন অবস্থান বদল করেছেন। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় এনআরসি-র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এখন তিনি নিজে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন, উল্টে বিজেপির দিকে ভোটের রাজনীতির অভিযোগ ছুড়ে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারের দিকে কাগজ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন পর্যন্ত। এখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও অনুপ্রবেশকারী নেই। এটা কি দ্বিচারিতা হল না! মিছিলে এই দ্বিচারিতারই জবাব চাওয়া হবে।
এদিন দিলীপ ঘোষের গলাধাক্কা মন্তব্যকে সমর্থন করেন রাহুল সিনহা। দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের আমরা থাকতে দেব না। তাদের ফেরত পাঠাবই। রাহুল সিনহার যুক্তি, বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিমরা প্রাণে বাঁচতে এদেশে এসেছিল। কিন্তু মুসলিম-রা তা নন। তাঁরা এসেছে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক লাভের জন্য। এই দাবিতেই দেশপ্রিয় পার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।