মমতার পাশে 'মোদী-বিরোধী' কংগ্রেস! প্রদেশকে বার্তা দিয়ে ব্রিগেড আসছেন রাহুলের দূত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে আসছেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আসছেন না সোনিয়া গান্ধীও। তবে উপস্থিত থাকছে কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে আসছেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আসছেন না সোনিয়া গান্ধীও। তবে উপস্থিত থাকছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের আর্জি উপেক্ষা করেই মমতার ব্রিগেডে দূত পাঠাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তিনি পাঠাচ্ছেন কলকাতায়। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং জানান এ কথা।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯-এর ব্রিগেডের জন্য রাহুল ও সোনিয়া উভয়কেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রদেশের বাধ্যবাধকতার কথা চিন্তা করেই রাহুল বা সোনিয়া কেউ আসছেন না। তাঁদের পরিবর্তে কংগ্রেসের দূত আসছে মমতার ব্রিগেড সমাবেশে। দিল্লির রাজনীতির স্বার্থেই রাহুল দূত পাঠাচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
দিল্লিতে সখ্যতা বজায় থাকলেও, রাজ্যে কংগ্রেস নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে চায় না। বরং তৃণমূল বিরুদ্ধে লড়াই করতেই আগ্রহী রাজ্যের নেতারা। দিল্লিতে গিয়েও তৃণমূলের উৎখাতের ডাকা দিয়েছিলেন সোমেন মিত্র, অধীর চৌধুরী ও গৌরব গগৈরা। মমতার ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে যাতে কোনও প্রতিনিধি না পাঠানো হয়, সেই আর্জিও তারা জানিয়েছিলেন রাহুলের কাছে।
শেষপর্যন্ত সমস্ত দিক চিন্তা করে নিজে না এলেও বর্ষীয়ান নেতাকে তিনি পাঠাচ্ছেন মমতা ব্রিগেডে অংশ নিতে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এ মর্মে বলেন, জাতীয় রাজনীতির স্বার্থেই রাহুলজি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যে তাঁরা একইরকম বিরোধিতা বজায় রাখবেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের কোনও নেতার যাওয়ার প্রশ্নও নেই ১৯-এর ব্রিগেডে।