নোবেল চুরির তদন্তে আরও ছজনকে আটক করল সিট
নোবেল চুরির তদন্তে নেমে তদন্তকারী আধিকারিকরা বুঝতে পারেন এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় কোনও মানুষ জড়িত রয়েছে। সেই মতো বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় কড়া নজরদারি চালায় সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা।
কলকাতা, ৩ জানুয়ারি : নোবেল চুরির তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বিশেষ তদন্তকারী দলের। নোবেল চুরির তদন্তে নেমে নতুন করে আরও ৬জনকে আটক করল সিট। তাদের আপাতত নিজেদের হেফাজতে রেখে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল। জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে সিট।
সূত্রে জানা গিয়েছে, নোবেল চুরির তদন্তে নেমে তদন্তকারী আধিকারিকরা বুঝতে পারেন এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় কোনও মানুষ জড়িত রয়েছে। সেই মতো বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় কড়া নজরদারি চালায় সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই মতো গত কয়েকদিন আগে বোলপুর থেকেই মিতা দাস নামে এক মহিলাকে নোবেল চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কয়েকজনের নাম জানতে পারে তদন্তকারী আধিকারিকরা।[নোবেল চুরির তদন্তে আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে পেল সিট, ধৃত প্রদীপ মূল ষড়যন্ত্রী!]
আটক ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়েই বিহারে রওনা দেয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানের রঘুনাথপুর থানার লিজুলি গ্রাম থেকে তাপস দাস সহ মোট ছয় জনকে আটক করে সিট। আটক সবাইকেই আপাতত কলকাতায় নিয়ে এসে দফায় দফায় জেরা শুরু করেছে সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গত বছরে নতুন করে বিশ্বভারতীতে গিয়ে ফের নোবেল চুরির তদন্তে রাজ্য সরকার রাজি বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো কলকাতায় ফিরে নোবেল চুরির তদন্তের জন্যে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। বর্তমানে নোবেল চুরির তদন্ত করছে সিট। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছে সিটের তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা। এমনকি, বেশ কয়েকজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েও দফায় দফায় জেরা করেছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে রাজ্যের বাইরে গিয়ে নোবেল চুরির ঘটনার জড়িত সন্দেহে আরও ৬জনকে আটক করল সিট।
গত ২০০৮ সালে মার্চ মাসে জানলার শিক ভেঙে শান্তিনিকেতনের বিচিত্রাগৃহ থেকে নোবেল চুরি হয়। খোয়া যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত আরও বেশ কিছু সামগ্রী। এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই। কিন্তু তদন্তে সফল হতে পারেননা সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা। ২০০৭ সালে তদন্ত বন্ধ করে দেয় সিবিআই। নতুন করে ফের ২০০৮ সালে নোবেল চুরির তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই সময়ও সেইভাবে সফল হতে পারেননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে ফের বন্ধ হয়ে যায় নোবেল চুরির তদন্ত। দীর্ঘ আট বছর পর ফের নোবেল চুরির তদন্ত শুরু করেছেন মমত বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার কতটা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল অর্থাৎ সিট কতটা সফল হয়।