পুরোপুরি খুলে দেওয়া হচ্ছে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর
এবার থেকে আর শুধু সকাল-সন্ধ্যা নয়, পুরোপুরি খুলে দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর। এতদিন শুধুমাত্র প্রাতঃভ্রমণকারী বা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য সকালে ও সন্ধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছিল কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবর। কিন্তু এখন থেকে আর সকাল - সন্ধ্যেয় নয় করোনা পরিস্থিতির নিউ নর্মালে পুরোপুরি ভাবে খুলে যাচ্ছে রবীন্দ্র সরোবর।

অন্যদিকে, একইভাবে সকাল ছ'টা থেকে টানা ১২ ঘণ্টা প্রবেশের অধিকার চালু হচ্ছে উত্তরের সুভাষ সরোবরেও। শহরের প্রবীণ নাগরিকদের কথা মাথায় রেখেই শীতের দুপুরে রোদ পোহাতে মঙ্গলবার এমনই মানবিক সিদ্ধান্ত নিল কেএমডিএ। নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীন কেএমডিএর পথে হেঁটেই কলকাতা পুরসভাও মহানগরের অধিকাংশ পার্ক ভোর ছ'টা থেকে ১২ ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রবীন্দ্র সরোবর থেকে দেশপ্রিয় পার্ক, সমস্ত উদ্যান বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে যোধপুর পার্কের রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পর ১ জুলাই থেকে রবীন্দ্র সরোবর খুলে দেওয়া হয়। ভোর ৫.৩০ থেকে সকাল ৯.৩০ পর্যন্ত প্রবেশের অধিকার দেয় কেএমডিএ। পুজোর পর সান্ধ্য ভ্রমণার্থীদের জন্য বিকেলে তিনটে থেকে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর খুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রবীণ নাগরিকরা এসে দুপুরেও রবীন্দ্র সরোবর খোলার আবেদন করেছেন। তাদের আর্জি, "শীতে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় প্রাতঃভ্রমণে দেরি হচ্ছে। তাই বেলায় জাতীয় সরোবরে প্রবেশের অধিকার চাই।" শহরের প্রবীণদের আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে এদিন কেএমডিএ চেয়ারম্যান তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বৈঠকে বসেন। পরে পুরমন্ত্রী জানান, "দল বেঁধে প্রবীণরা যাতে রোদ পোহাতে পারেন তাই সারাদিনের জন্য রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবর খুলে দেওয়া হচ্ছে। দুই লেকেই হাঁটাহাঁটি ও মুক্ত বাতাসে সবুজের মাঝে শহরবাসী যাতে বেশিসময় সময় কাটাতে পারেন তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।"

সুন্দরবনের ধামাখালিতে নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সূচনা