পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র ফাঁস যাদবপুরে! ফের বড়সড় দুর্নীতির গন্ধ সাংবাদিকতা বিভাগে
পরীক্ষা চলাকালীন উত্তরপত্র ফাঁস যাদবপুরে! ফের বড়সড় দুর্নীতির গন্ধ সাংবাদিকতা বিভাগে
গতবছরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একাধিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ সামনে আসে। প্রশ্ন ওঠে বিভাগীয় প্রধান, এমনকী কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকা নিয়েও। যা নিয়ে পড়ুয়াদের তরফে একাধিকবার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করা হলেও গোটা প্রক্রিয়াই এখনও বিশ বাঁও জলে। এমতাবস্থায় চলতি শিক্ষাবর্ষেও ফের বড়সড় দুর্নীতির গন্ধ যাদবপুরের অ্যাডাল্ট কন্টিনিউয়িং এডুকেশন এন্ড এক্সটেনশন বিভাগে।
শুরু থেকেই অব্যাহত ডামাডোল
সূত্রের খবর, চলতি বছর মাস কমিউনিকেশন কোর্সে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে শুরু থেকেই ডামাডোল অব্যাহত ছিল। এমনকী স্নাতোকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্নাতকে সাংবাদিকতায় সাম্মানিক ডিগ্রি প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী বিভাগেরই ছাত্রছাত্রীদের একটানা আন্দোলনের চাপে মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সকলের জন্য খোলে প্রবেশিকার পরীক্ষার দরজা। এমনকী ছাত্র আন্দোলনের জেরেই অনেকটাই কমানো হয় কোর্স ফিও। এমতাবস্থা এবার হাজারও জটিলতা পেরিয়ে সোমবার ২৫.০১.২০২১ তারিখ চলতি শিক্ষাবর্ষে এই বিভাগে স্নাতকোত্তরে ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। সময় ছিল দুপুর ২টো থেকে ৩টে।
পরীক্ষা শুরুর পরেই বাইরে চলে আসে প্রশ্নপত্র
কিন্তু দেখা যায় দুপুর ২ টো থেকেই ৫০ টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন(এমসিকিউ) বাইরে চলে আসে। এমনকী খোদ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও যা সাধারণ মানুষ দেখতে পায়। যার যাবতীয় স্ক্রিনশটও ইতিমধ্যে ঘোরাঘুরি করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে শিক্ষামহলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধার সঙ্গে এই আপোষ, এবং সর্বোপরি প্রবেশিকা পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষা চলাকালীন বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদেরাও। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র খবর, ছাত্রদের দাবিকে মান্যতা দিয়েই বাতিল হয়ে যেতে পারে পরীক্ষা।
রাস্তায় নেমেছে মাস কমিউনিকেশন বিভাগের অন্তিম বর্ষের পড়য়ারা
এদিকে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই যাবতীয় অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলে সরব হয়েছে মাস কমিউনিকেশন বিভাগের অন্তিম বর্ষের পড়য়ারাও। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিভাগের নির্বাচিচ ছাত্র প্রতিনীধি সম্রাট দে বলেন, " এই ঘটনা নতুন নয়। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা চলছে দীর্ঘদিন থেকে। আজও অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে আমাদের একাধিক দাবি। এমনকী প্রাকটিক্যাল নির্ভর কোর্স হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে ছিনিয়ে আনা ল্যাব ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকেও আমাদের সর্বতোভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। "
মুকুলের সঙ্গে দেখা হল কথাও হল মমতার! কিন্তু শুভেন্দুর সঙ্গে নয়, জল্পনা তুঙ্গে