পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্বে মমতার ভাইপো! রাজ্যের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুক্রবার আন্দোলনে নামছে তৃণমূল। যদিও প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে পেট্রোপণ্যের মূল্য কমাতে কোনও ভূমিকাই কি নিতে পারে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
ইতিমধ্যেই ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে ডিজেলের দাম। অন্যদিকে পেট্রোলের দাম ছাড়িয়েছে লিটার পিছু ৮০ টাকা। প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুক্রবার আন্দোলনে নামছে তৃণমূল। যদিও প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে পেট্রোপণ্যের মূল্য কমাতে কোনও ভূমিকাই কি নিতে পারে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
কর্ণাটকের
ভোটের
পর
থেকে
প্রতিদিনই
একটু
একটু
করে
বেড়ে
চলেছে
পেট্রোল
ও
ডিজেলের
দাম।
বৃহস্পতিবার
সকালে
দিল্লিতে
লিটার
পিছু
পেট্রোল
ও
ডিজেলের
দাম
ছিল
যথাক্রমে
৭৭.৪৭
টাকা
ও
৬৮.৫৩
টাকা।
মুম্বইতে
৮৫.২৯
টাকা
ও
৭২.৯৬
টাকা।
কলকাতায়
যথাক্রমে
৭১.০৮,
৮০.১২
টাকা।
ইতি
মধ্যেই
এর
প্রভাব
পড়তে
শুরু
করেছে
বাজারে।
বাড়তে
নিত্য
প্রয়োজনীয়
জিনিসের
মূল্য।
সারা
দেশে
বিভিন্ন
রাজনৈতিক
দল
প্রতিবাদ
জানাচ্ছে।
সাধারণ
মানুষের
পাশে
থাকতে
আন্দোলনের
কথা
জানিয়েছে
তৃণমূল
কংগ্রেসও।
শুক্রবার
দুপুর
দেড়টায়
সুবোধ
মল্লিক
স্কোয়ার
থেকে
মিছিল
করবে
তৃণমূল
যুব
কংগ্রেস।
নেতৃত্বে
থাকবেন
ডায়মন্ডহারবারের
তৃণমূল
সাংসদ
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে উৎপাদন শুল্ক ও ভ্যাটের দিকে নজর দিলে বোঝা যাবে, এই মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা বাড়লেও, আদতে লাভবান হচ্ছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি। যে হিসেব অর্থনীতিবিদরা দিচ্ছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতায় ডিলারদের কমিশন বাবদ পেট্রোলের দামের ৪৬ শতাংশই উৎপাদন শুল্ক ও ভ্যাট। ডিজেলের ক্ষেত্রে সেটা ৩৭ শতাংশের মতো। মূল দামের ওপর এরাজ্যে পেট্রোলে ২৫ শতাংশ ও ডিজেলে ১৭ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়। ফলে দিনের পর দিন এই মূল্য বৃদ্ধিতে রাজ্যের কোষাগারও যে ফুলে-ফেঁপে উঠছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে মূল্যবৃদ্ধির পুরো বিষয়টি নিয়ে আদৌ কেন্দ্রের ঘাড়ে কতটা দায় চাপানো যায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য চাইলেই পেট্রোপণ্যের দাম কমতে পারে বলে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
জিএসটি লাগুর সময় থেকেই পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র আওতায় আনার দাবি উঠেছে বারবার। কেন্দ্রও রাজি। কিন্তু রাজ্যগুলিই তাতে রাজি নয়। কার্যত এমনটাই মন্তব্য কেন্দ্রের। কেননা পেট্রোপণ্যে জিএসটি লাগু হলে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ হারে কর আদায় হতে পারে। এই মুহূর্তে পেট্রোপণ্যের ওপর থেকে কর আদায়ের পরিমাণ প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ।