বন্যায় ভেঙেছে ৫৪২ কিলোমিটার রাজ্য সড়ক! নয়া পরিকল্পনা পূর্ত দফতরের
’৭৮ সালের থেকেও বেশি জল ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল এবার। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাছাড়া পরিমাণও চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে তা।
অনেকেই বলছেন এবারের বন্যায় '৭৮ সালের থেকেও বেশি জল ছাড়া হয়েছে। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও মাত্রাছাড়া। সম্প্রতি পূর্ত দফতর যে রিপোর্ট পেশ করেছে নবান্নে, তাতে চোখ কপালে ওঠারই জোগাড়।
পূর্ত দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার বন্যায় প্রায় ৫৪২ কিলোমিটার রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে ৩৩৫ কিলোমিটার রাস্তার সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। আংশিক ক্ষতি ২০৭ কিলোমিটার রাস্তার। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এই রাস্তা এবার কংক্রিটের করা হোক। এবং জল প্রবাহের জন্য রাস্তার নিচে বসানো হোক বড় পাইপ লাইন। সেইমতোই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে নবান্ন।
এবার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা দিতে সমস্ত দফতরে নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে। সেইমতো জেলা শাসকদেরও রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পূর্ত দফতর রাস্তার বিপুল ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পেশ করেছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা, হুগলির খানাকূল, আরামবাগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও পাঁশকুড়ায়। কিছু রাস্তা বন্যার জলের তোড়ে একেবারে ভেসে গিয়েছে। উদয়নারায়ণপুরে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে রাজ্য সড়কের ১০০ মিটার রাস্তা। জাঙ্গিপাড়াতেও ৫০ কিলোমিটার রাস্তার একই হাল।
এই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে সতীঘাট ব্রিজের কথা। শালি নদীর উপর এই সতীঘাট ব্রিজ বন্যায় একেবারে ভেসে যায়। এছাড়া বন্যাদুর্গত রাজ্যে আরও সাতটি সেতুর ক্ষতি হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়।
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুমোদন মিললেই যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা তৈরি ও মেরামতের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। আগস্টেই যাতে কাজ শুরু করা যায়, তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে পাকাপাকিভাবে কাজ শুরু হবে বর্ষার শেষে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ।