টানা চার ঘণ্টা জেরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও সচিবকে, সিবিআই-স্ক্যানারে টেট-দুর্নীতি
প্রাথমিক টেটেও দুর্নীতি মমলা সিবিআইয়ের হাতে ওঠার পর প্রথম দিনেই পর্যদ সভাপতি ও সচিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল টানা প্রায় চার ঘণ্টা।
প্রাথমিক টেটেও দুর্নীতি মমলা সিবিআইয়ের হাতে ওঠার পর প্রথম দিনেই পর্যদ সভাপতি ও সচিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল টানা প্রায় চার ঘণ্টা। সোমবার নিজাম প্যালেসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এজদিন সাড়ে ৯টা নাগাদ বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
সোমবার প্রাথমিক টেট মামলায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই মতো নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান। পৌঁছে যান প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিও।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য শিক্ষা দফতর। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে টেট মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে আসে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও সচিব নির্ধারিত সময়ের আগে সিবিআই দফতরে পৌঁছে গেলেও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সিবিআইয়ের কাছে পৌঁছয়নি আদালতের কপি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। তদন্তকারীরা প্রায় ৬টার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও সচিবকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
তাঁরা উভয়েই বেশ কিছুক্ষণ বসেছিলেন সিবিআই অফিসে। তারপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। কেন ২৬৯ জনকে এক নম্বর করে বেশি দেওয়া হল, সে বিষয়েও তদন্তকারীরা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে জিজ্ঞাসা করে। যদি প্রশ্ন ভুলের জন্য ওই এক নম্বর দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সম্ত পরীক্ষার্থীকেই ওই নম্বর দিতে হবে, কেন শুধু ২৬৯ জনের নম্বর বাড়ানো হল? এখানে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে সিবিআই।
রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস একটি ফেসবুক লাইভে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। পরিবর্তিত নাম 'বাগদার রঞ্জন' টাকার বিনিময়ে প্রাইমারিতে প্রচুর চাকরি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। এই বিষয়টি তদন্তের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সেইসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়, টেট পাস না করেও চাকরি কীভাবে? এদিন ২৬৯ জনের নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর গোটা ঘটনায় বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।