ন্যায্য বেতনের দাবিতে রাজপথে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা
বুধবার প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর সহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে মহানগরীর রাজপথ একবার দেখল বড় আন্দোলন।
ুধবার প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর সহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে মহানগরীর রাজপথ একবার দেখল বড় আন্দোলন। এর আগেও নির্দিষ্ট ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরসহ সহ ন্যায্য বেতন বৃদ্ধি এবং আরও কিছু দাবি নিয়ে রাস্তায় নামে প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন UUPTWA।
অনেকদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকেরা। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যা যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না। পুজোর আগে ও তাদের বৃহত্তর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা দপ্তর গত 13-ই সেপ্টেম্বর একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে। কিন্তু তাতে বিজ্ঞপ্তিও প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যার সমাধান তো করেইনি উল্টে বাড়িয়ে তুলেছে বলে দাবি শিক্ষক সংগঠনের।
তাই আবারও ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে আনতে মহানগরীর রাজপথে পথে রাজ্যের কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রাথমিক শিক্ষিকদের সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন উস্তির পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের তারা তাদের আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে তাদের অনুরোধ, ' নিজস্ব রাজনৈতিক ধ্যান ধারণা, রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন সব কিছু কে সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র নিজের জন্য এবং সমগ্র প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের জন্য এই কর্মসূচিতে দলে দলে যোগ দিন। আমরা যদি নিজের ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে না আনতে পারি তাহলে আমাদের সারা জীবন চরম বঞ্চনা বয়ে নিয়ে যেতে হবে। মৃত্যুর পর ও সেই বঞ্চনা আমাদের পরিবারকে ভোগ করতে হবে। আপনারা আসুন ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে নিন।'
উল্লেখ্য, এর আগেও টানা ১৪-১৫ দিন অনশন করেছিল আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকরা। তার ফল মিলেছিল ঠিকই কিন্তু তার মধ্যেও যে একটা ধোয়াশা বজায় আছে বলে তাদের দাবি। তারা জানায়, তাদের অনশনের পরে রাজ্য সরকার গ্রেড পে বাড়িয়ে দেয় ঠিকই কিন্তু বেতন বেড়ে কত হবে তা স্পষ্ট জানায় নি। সেই সময় সরকারের তরফ থেকে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে এই ধর্না মিছিল করে প্রাথমিক শিক্ষকেরা। সরকার অনৈতিক ভাবে কয়েকজন শিক্ষকের বদলি করে দেয়, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় প্রাথমিক শিক্ষকেরা। পরে যখন শিক্ষকেরা টানা অনশন করে এর ফলেই সরকার তাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। পরে পার্থ চট্যোপাধ্যায় বেতন বৃধির একটা প্রাথমিক সঙ্কেত দেয়, কিন্তু সেখানে সেই অনশঙ্কারী শিক্ষকদের ডাকা হয় নি বলে তাদের দাবি।