২০১৭ সালের প্রাথমিকে টেট উত্তীর্নদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
কথা রাখলেন পর্ষদ সভাপতি! ২০১৭ সালের প্রাথমিকে টেট উত্তীর্নদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কোন পরীক্ষার্থী কত নম্বর পেয়েছেন সমস্ত কিছু বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালেই সাংবাদিকদের মুখ
কথা রাখলেন পর্ষদ সভাপতি! ২০১৭ সালের প্রাথমিকে টেট উত্তীর্নদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কোন পরীক্ষার্থী কত নম্বর পেয়েছেন সমস্ত কিছু বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
সেখানে তিনি জানান, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে। আর সেই মতো রাতেই পর্ষদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করা হল। পর্ষদের তরফে মোট ১৮৮ পাতার একটি নথি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা।
তাঁদের দাবি, এতদিন কেন এই নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা হল না। অন্যদিকে যেখানে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলা হয়েছিল সেখানে রাতারাতি কীভাবে নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীরাও। ফলে একটা আশার আলো তৈরি হলেও কার্যত তা নিয়ে সন্দেহের একটা অবস্থা রয়েই গেল।
তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ২০১৪ টেট উত্তীর্নদেরও নম্বরের তালিকা সামনে আনা হবে বলেও ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, আজ পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল একাধিক বিষয়ে কথা বলেন। বলেন, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ৮০০ জন ছিল। রাতেই তাঁদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করার চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে।
২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট প্রকাশ করার পাশাপাশি কিছুদিনের মধ্যেই উত্তীর্ণদের হাতে শংসাপত্রও তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান গৌতম পাল। বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৭ সালে পরীক্ষা হলেও কিংবা ২০১৪ সালে পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীরা তাঁদের কোনও নম্বর জানতে পারেননি। এমনকি শংসাপত্র হাতে পাননি।
এই বিষয়ে একাধিকবার আন্দোলন হয়েছে। একের পর এক মামলা হয়েছে। তবে এমনই একটি মামলাতে পর্ষদকে নম্বর এবং শংসাপত্র দেওয়ার কথা বলে। এই প্রসঙ্গে গৌতমবাবু জানান, আদালত যেমন ভাবে বলছে তেমন ভাবেই কাজ হচ্ছে। এমনকি এনসিটিএ'র নিয়ম মানা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে নম্বর প্রকাশের ক্ষেত্রে একটা হাফিলতি ছিল বলে মেনে নিয়েছে পর্ষদ।
তবে সেই জটিলতা কাটানোর কাজ হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, সামনেই ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে টেট। প্রায় ৭লাখ পরীক্ষার্থী ইতিমধ্যে আবেদন করেছে। এ সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ট ভাবে হয় সেদিকেই নজর পর্ষদের।
আরও বড়সড় বদলের কথা মাস্কের মুখে! কার্যত খালি ভারতে টুইটারের অফিস