লক্ষ্য পাসপোর্ট পরীক্ষা! অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ৬ ঘন্টা হেনস্থার অভিযোগ এই সীমান্তে
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে টানা ৬ ঘণ্টা অপেক্ষার নামে দাঁড় করিয়ে হেনস্থার অভিযোগ উঠল পেট্রাপোলে অভিবাসন দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল হয়ে ওই মহিলা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে টানা ৬ ঘণ্টা অপেক্ষার নামে দাঁড় করিয়ে হেনস্থার অভিযোগ উঠল পেট্রাপোলে অভিবাসন দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল হয়ে ওই মহিলাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত স্বপন দফাদারের বিরুদ্ধে পেট্রাপোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলার স্বামী।
বছর খানেক আগে বালিগঞ্জের বাসিন্দা আনন্দ দাশগুপ্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বাংলাদেশের অর্পিতা পালের। সম্প্রতি অর্পিতা গিয়েছিলেন বাংলাদেশে বাপের বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামীও। শনিবারা সকাল ছটা নাগাদ বেনাপোল সীমান্তে কাজ মিটিয়ে এদিকে পেট্রোপোল সীমান্তে আসেন। সেই থেকেই দুঃসমের শুরু।
জানা গিয়েছে, পেট্রাপোলের অভিবাসন দফতরের আধিকারিক স্বপন দফাদার দেখেন, আনন্দ দাশগুপ্তের পাসপোর্ট ভারতীয় হলেও, তাঁর স্ত্রী অর্পিতার পাসপোর্ট বাংলাদেশের। এই সময়ই অর্পিতাকে হেনস্থা করা শুরু হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ অর্পিতার পাসপোর্ট আটকে রেখে ঘুষও চাওয়া হয়।
আনন্দ দাশগুপ্তের দাবি, চাহিদা মতো সমস্ত বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পরেও, তাঁর স্ত্রী অর্পিতাকে অকারণে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, ঘন্টার পর ঘণ্টা। সময়টা প্রায় ছয় ঘণ্টার মতো। এইসময় আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা অর্পিতার রক্তক্ষরণ শুরু হলে আনন্দ দাশগুপ্ত পেট্রোপোল থানার দ্বারস্থ হন। থানার সহযোগিতায় অর্পিতা পাল দাশগুপ্তকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করেন।