খাটের তলায় চাদরে মোড়া অন্তঃসত্বা গৃহবধূর দেহ, নিখোঁজ স্বামী, চাঞ্চল্য কলকাতার ফুলবাগান
বোনের কোনও খোঁজই পাচ্ছিল না তাঁর দুই দিদি। তাই বোন পূজা জৈনের খোঁজে কলকাতার ফুলবাগানে বাপের বাড়িতে চলে আসেন এক দিদি। কারণ, গত কয়েক মাস ধরে বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের পূজা।
বোনের কোনও খোঁজই পাচ্ছিল না তাঁর দুই দিদি। তাই বোন পূজা জৈনের খোঁজে কলকাতার ফুলবাগানে বাপের বাড়িতে চলে আসেন এক দিদি। কারণ, গত কয়েক মাস ধরে বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের পূজা। বাপের বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। মাঝেমধ্যে স্বামী আসতেন। পূজার দিদি দেখেন জলের পাম্প চলছে। দরজা, জানলা সবই খোলা। তিনি বোনের নাম ধরে ডেকেও সাড়া না পেয়ে ঘরের ভিতরে খুঁজতে শুরু করেন। আর সে সময় দেখেন বক্স-খাটের খানিকটা তলায় বিছানার চাদরে মোড়া রয়েছে পূজার নিথর দেহ।
এরপরই পূজার দিদি ফুলবাগান থানায় খবর দেন। সেখান থেকে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। পূজার স্বামীর গত কয়েক দিনের মধ্যে এখানে আসার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোনেও সুইচড অফ পাওয়া যায়। এরপরই পূজার শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়। হাওড়ার ব্যাটাইতলায় পূজার শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয় যে পূজার স্বামী তিন দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে।
পূজার দিদিদের অভিযোগ, তাদের বোন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন। এর আগে পূজার দু'বার মিস ক্যারেজও হয়েছিল। তৃতীয়বার পূজা অন্তঃসত্বা হলেও স্বামী সন্তান চাইছিলেন না। এই নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে পূজার বাদানুবাদও হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে এরপর পূজা ফুলবাগানে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। রবিরা এবং সপ্তাহের যে কোনও একটা দিনে পূজার স্বামী তাঁর সঙ্গে এসে থাকতেন।
অভিযোগ, বাপের বাড়িতেও পূজার সঙ্গে স্বামীর প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। পূজার দিদিদের অভিযোগ, ২ তারিখ রাত থেকে বোনের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না। ৩ তারিখেও তারা বোনের খবর নিতে আসতে পারেননি। ৪ তারিখ সকালে এসে দেখেন পূজার নিথর দেহ খাটের তলায়। পূজার দিদিদের অভিযোগ, জামাই খুন করে পালিয়ে গিয়েছে।
এদিকে, তদন্তেও পুলিশেও ধারনা ঘটনাটি খুনের। বডি লোপাটের জন্য দেহটি চাদরে মুড়ে খাটের তলায় ঢোকানো হয়েছিল। এমনকী, কারোর যাতে সন্দেহ না হয় তার জন্য বিছানায় নতুন চাদর পেতেও দেওয়া হয়। পরিচিত কেউ এই খুনের সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত পূজার স্বামীর খোঁজ চলছে।