নির্বাচন কমিশনে সাংসদেরও প্রবেশাধিকার নেই! স্বৈরাচার চলছে বলে তোপ প্রদীপের
স্বৈরাচারী শাসন চলছে রাজ্যে। তারই নমুনা সোমবার রাখল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।
স্বৈরাচারী শাসন চলছে রাজ্যে। তারই নমুনা সোমবার রাখল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। রাজ্যসভার একজন সাংসদকেই সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হল না নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে। নির্বাচন কমিশনার ব্যস্ত রয়েছেন জানিয়ে ফিরে যেতে বলা হয় সাংসদকে।
[আরও পড়ুন:একদিনের মনোনয়নেও হিংসা পিছু ছাড়ল না, রাস্তাতেই আক্রান্ত কংগ্রেস সাংসদ-বিধায়করা]
এই ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে আসেন। আর ফেরার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, তাঁর ক্ষোভের কথা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে স্বৈরাচার চলছে। পুলিশ-কমিশন মিলে চলছে এই অব্যবস্থা। শুধু ব্যস্ত থাকার কথা বলে একজন সাংসদকে ফিরিয়ে দেওয়া হল দেখা না করেই।
প্রদীপবাবু অভিযোগ করেন, শাসক দল ইচ্ছা করে এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। তাদের মদতেই রাজ্য পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে। মনোনয়ন পর্ব থেকেই রাজ্য জ্বলছে। বিরোধীরা যাতে মনোনয়ন দিতে না পারেন, সেই কারণেই এটা একটা পরিকল্পনা। কংগ্রেস সাংসদ সরাসরি অভিযোগ করেন, রাজ্যের শাসকদলের ইনস্ট্রাকশনেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে।
রাজ্যের এই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবেই গর্জে উঠতে হবে তিনি দাবি করেন। এদিনও বিভিন্ন এলাকায় মনোনয়ন পেশ নিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক হিংসা কেড়ে নেয় প্রাণ। বোমা-বন্দুক নিয়ে মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন:টার্গেট '১৯-এ পঞ্চায়েতের প্রচারে নেই মমতা! তবে দলনেত্রীর অভাব ঢাকতে মুখ কে]