ভাঙড়ে গ্রিডের কাজ শেষ করতে সচেতনতামূলক প্রচারই হাতিয়ার কর্পোরেশনের
সচেতনতামূলক প্রচারকে হাতিয়ার করেই ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হল পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েই ভাঙড়ের মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাইছে কর্পোরেশন।
কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি : সচেতনতামূলক প্রচারকে হাতিয়ার করেই ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হল পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। পাওয়ার গ্রিড হলে ফসল, মাছের ভেড়ি, চাষাবাদ- কিছুরই কোনও ক্ষতি হবে না। সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েই ভাঙড়ের মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাইছে কর্পোরেশন। এই প্রকল্প করতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।[অবরোধ প্রত্যাহার ভাঙড়ে, ৩০ শে কলকাতায় রেড স্টারের মহামিছিল]
শুক্রবারই বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ভাঙড়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। ওখানে বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। বরং লাভবানই হবে ভাঙড়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা তথা রাজ্যও। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজ্যের রাজ্যস্ব লাভও হবে ৩০০ কোটি টাকার।[পুলিশের রুটমার্চের পরই ফের উত্তপ্ত ভাঙড়]
তাই তিনি ভাঙড়বাসীকে বোঝানোর পরামর্শ দেন। মানুষকে বোঝাতে হবে, এই প্রকল্প মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর হবে না। এই প্রকল্পের সুবিধা জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে হবে। মন্ত্রীর এই পরামর্শ মেনেই পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন প্রচারকে হাতিয়ার করতে চলেছে। সেইমতো সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।[কে চালাল গুলি? উর্দিই বা কার? ভাঙড়বাসীর ধন্দ কাটছে, শুরু রাজনৈতিক তরজা]
পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের দাবি, প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে পাওয়ার গ্রিডের। মাত্র ১০ শতাংশ কাজ বাকি। আর এইখানে বিদ্যুতের তার রয়েছে মাটি থেকে অন্তত ৯ মিটার উপরে। এই বিদ্যুতের তার থেকে শক লাগার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এমনকী জমির চাষাবাদেরও কোনও ক্ষতি হবে না। ক্ষতি হবে না ফসল বা মাছের ভেড়ির।[বহিরাগতদের নেপথ্যে কে? তিন বছর পর কোন পথে সংগঠিত ভাঙড়ের জমি আন্দোলন?]
উল্টে সাধারণ মানুষ যদি এই গ্রামে প্রকল্প মেনে নেন, তবে কী কী সুবিধা মিলবে, তাও জানাবে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। গ্রিড তৈরি করতে তাই আলোচনাকেই হায়িতার করছে তাঁরা। কর্পোরেশন আশাবাদী আলোচনা ও প্রচারে ইতিবাচক সাড়া মিলবে। তারা শেষ করতে পারবে গ্রিডের কাজ।