ব্যালট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন! মুখ্যমন্ত্রীর 'সিদ্ধান্ত' চাপানো নিয়ে প্রশ্ন
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে রাজ্যে পুরভোট ব্যালটে করার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে রাজ্যে পুরভোট ব্যালটে করার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পুরআইন বলছে মুখ্যমন্ত্রীর এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ার নেই। এব্যাপারে তিনি কোনও নির্দেশও দিতে পারেন না। পুরো বিষয়টি নির্ধারণ করবেন রাজ্যে নির্বাচনী আধিকারিক সৌরভ দাস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দ্বিচারিতা'
১৯৯৩-এর ২১ জুলাই মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক ছিল নো এপিক, নো ভোট। সেই মুখ্যমন্ত্রী তথা নেত্রী দাবি তুলছেন ইভিএম নয় ব্যালটে ভোট চাই। রাজনীতিবিদদের একাংশ বলছেন মমতা বন্দ্যো নিজের আন্দোলনেই দ্বিচারিতা করছেন। এছাড়াও তিনি ২০১১ এবং ২০১৬-র নির্বাচনে ইভিএম-এই জয় পেয়েছেন। ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনও হয়েছিল ইভিএম-এই। তাহলে সেই ইভিএম নিয়ে কেন আবারও আন্দোলন, প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী রাজনীতিকরা।
তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী 'আলাদা'
নিজের
রাজ্যের
ভোটে
ব্যালটের
ব্যবহার
ফের
শুরু
করবেন।
এবারের
২১
জুলাইয়ের
মঞ্চ
থেকে
জানিয়েছেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু
রাজনীতিবিদ
থেকে
আইনজীবী,
সকলেই
বলছেন
তৃণমূল
নেত্রী
হিসেবে
তিনি
মঞ্চ
থেকে
যা
খুশি
তাই
বলতে
পারেন
এবিষয়ে।
কিন্তু
মুখ্যমন্ত্রী
হিসেবে
তিনি
তা
বলতে
পারেন
না।
কেননা
তাঁর
সেই
এক্তিয়ার
নেই।
এব্যাপারে
সিদ্ধান্ত
নিতে
পারেন
একমাত্র
রাজ্য
নির্বাচন
কমিশন।
রাজ্যের অধীনে থাকা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের যেমন নিজেস্ব ইভিএম রয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও তা রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী ২০১১ সালে শেষবার ইভিএম কিনেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের অধীনেই সেগুলি রাখা রয়েছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে থাকে। কিন্তু যেসব ইভিএম রাজ্যের হেফাজতে রয়েছে তাতে কীভাবে হ্যাক করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অন্যদিকে কোনও ইভিএম-এই যে হ্যাক করা সম্ভব নয় তা এর আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছে দেশের নির্বাচন কমিশন।