বৌবাজারে মেট্রোর কাজ অনিশ্চিত, হোটেলে ঠাঁই বাসিন্দাদের! রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে বউবাজারের দুর্গাপিটুরি লেন এবং স্যাকরাপাড়া লেনের বেশিরভাগ বাসিন্দা। স্থানীয় প্রায় শ'খানেকের ওপর বাসিন্দাকে স্থান দেওয়াহয়েছে হোটেলে।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে বউবাজারের দুর্গাপিটুরি লেন এবং স্যাকরাপাড়া লেনের বেশিরভাগ বাসিন্দা। স্থানীয় প্রায় তিনশো বাসিন্দাকে স্থান দেওয়া হয়েছে হোটেলে। মেট্রোর তরফেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এখনও ঘরের প্লাস্টার কিংবা দেওয়ার চাঙর ভেঙে পড়ার আতঙ্ক এখনও তাঁদের চোখে মুখে। অন্যদিকে এই ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় মেট্রোর বর্তমান রুট নিয়ে অনিশ্চিয়তা প্রকাশ করেছেন।
ভূমিকম্পের আতঙ্ক
শুরুটা হয়েছিল শনিবার সন্ধে থেকে। ভূমিকল্প না হলেও, সেই আতঙ্ক ভূমিকম্পের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না। কোনও বাড়ির প্লাস্টার যেমন খসে পড়েছে, ঠিক তেমনই চাঙরও খসে পড়েছে। এরপর নির্মীয়মান মেট্রোর কর্মীদের তাড়ায় প্রাণ হাতে নিয়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন দুর্গাপিটুরি লেন এবং স্যাকরাপাড়া লেনের বেশিরভাগ বাসিন্দা। প্রায় ৩০০ বাসিন্দার ঠাঁই হয়েছে, স্থানীয় হোটেলগুলিতে।
ব্যর্থতা মেট্রোর, দাবি স্থানীয় সাংসদের
মেট্রোর ব্যর্থতার জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মেট্রো কর্তৃপক্ষের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাজনীতি না আনার ডাক লকেটের
বিষয়টিতে রাজনীতি না এনে সুন্দর করে মেরামত করার ডাক দিয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যাঁরা বিষয়টি নিয়ে দেখভাল করছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবেন, আশাপ্রকাশ করেছেন লকেট।
মেট্রোর রুট অনিশ্চিত
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় মেট্রোর বর্তমান রুট নিয়ে অনিশ্চিত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, নিচে জলের চাপ বেশি থাকায় টানেল বোরিং মেশিনও আটকে পড়েছে। প্রয়োজনে মেট্রোর রুট পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।