(ছবি) দোলনায় পুলিশ : বিরোধী নেই, নেই ভোটার, তাহলে একটু দোল খাওয়া যাক!
কলকাতা, ৯ অক্টোবর : দোলে দোদুল দোলে দুলোনা....
শুক্রবারে সল্টলেকের পুনর্নির্বাচনের ছবিটা দেখে প্রথম একথাটাই মনে পড়ল। তা মনের আর দোষ কী বলুন। যদি আপনি চোখের সামনে দেখেন উর্দি পরা কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক পার্কের দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে। তাহলে আপনার মাথায় যে এধরণেরই কোনও গান আসবে তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। [দেখা নেই ভোটারের, কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় বিধাননগরে শুরু পুনর্নির্বাচন]
আজ্ঞে হ্যাঁ, এ ছবি বিধাননগর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের এইচবি ব্লকের আওয়ার লেডি কুইন অফ দ্য মিশন স্কুলের ৩৫৬ নম্বর বুথে ধরা পড়ল। ভোটকেন্দ্রের সামনেই পার্ক আর সেখানেই দিব্যি দোল খেলেন এই পুলিশকর্মী। অবশ্য পুলিশকেই বা দোষ দিই কি করে বলুন দেখি, সকাল থেকে সেই ম্যাড়ম্যাড়ে পুনর্নির্বাচন চলছে। [ছাপ্পা, বুথ দখল, মারধরের অভিযোগে উত্তপ্ত বিধাননগর পুরভোট]
না ভোটার আছে, না বিরোধী, না নেতা আছে, না গুণ্ডা, ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কাজ নেই পুলিশের হাতে। এমন অবকাশ তো পুলিশের জোটে না, যে দায়িত্বপূর্ণ ডিউটি পালন করতে এসে কাজের কোনও সুযোগ নেই। তাই কি আর করা, মনের শিশুটিকে জাগিয়ে নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতি একটু উষ্কে নেওয়া আর কি। [(ছবি) দেখে নিন বিধাননগর পুরভোটে চূড়ান্ত গোলমালের খণ্ডচিত্র]
গত ৩ অক্টোবর সল্টলেকে নির্বাচনের যে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছিল মিডিয়ার ক্যামেরায়, সাংবাদিকদের নৃশংসভাবে এলোপাথারি বেধড়ক মার, ছাপ্পা ভোট, রিগিং যা দেখে শিউরে উঠেছিলেন বঙ্গবাসী। কিন্তু এদিনের ছবিটা একেবারে আলাদা। [ ভিডিও : পুলিশ নিধিরাম সর্দার, বহিরাগতদের দাপট বিধাননগরে, পুলিশের সামনেই চলছে মাটিতে ফেলে মার]
বিরোধীরা এই পুনর্নির্বাচনকে বয়কট করেছেন, কোনও বুথেই বিরোধীদের কোনও পোলিং এজেন্ট নেই, অশান্তির ভয়ে আম জনতাও ভোটকেন্দ্র মুখো হতে চাইছেন না। ফলে ভোট শান্তিপূর্ণ না হয়ে যায় কোথায়। আর ভোট যখন শান্তিপূর্ণ পুলিশের কাজ কী? তাই একটু দোদুল দোলা। মন্দ কী?
নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা
৩ অক্টোবর সল্টলেকে পুর নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শাসকদলের সিপাহীদের কাজে সাহায্য করা এবং বিরোধিতা দেখলেই মেরে তাড়ানো।
সংবাদমাধ্যম
সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় সেদিন ধরা পড়েছিল যে ছবি তাতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত পুলিশ, কখনও মুখের ধমকানি কখনও লাঠির ঘা মেরে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা।
পুলিশের নিরাপত্তা
সেদিনও বহুসংখ্যক পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সল্টলেকে। আজকের পুনর্নির্বাচনেও প্রচুর সংখ্যক পুলিশ আছে। তফাৎ একটাই। সেদিন অনেক কাজ ছিল, আজ কোনও কাজই নেই।
বচসায় পুলিশ
সেদিনের ভোটে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। কারণ চোখের সামনে শাসক দল আশ্রিত গুণ্ডারা সংবাদ মাধ্যম ও সাধারণ ভোটারদের নিগৃহীত করা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
দোল দোল দুলুনি
সেদিনের থেকে আজকের চিত্রটা একেবারেই আলাদা। না ভোটার আছে, না বিরোধী, না নেতা আছে, না গুণ্ডা, ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কাজ নেই পুলিশের হাতে। এমন অবকাশ তো পুলিশের জোটে না, যে দায়িত্বপূর্ণ ডিউটি পালন করতে এসে কাজের কোনও সুযোগ নেই। তাই কি আর করা, মনের শিশুটিকে জাগিয়ে নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতি একটু উষ্কে নেওয়া আর কি।
সেদিনের অত্যাচার
সেদিন ভোটারদের নিগৃহীত হতে দেখেও এগিয়ে আসেনি পুলিশ।
দোলে দোদুল
বিরোধীরা এই পুনর্নির্বাচনকে বয়কট করেছেন, কোনও বুথেই বিরোধীদের কোনও পোলিং এজেন্ট নেই, অশান্তির ভয়ে আম জনতাও ভোটকেন্দ্র মুখো হতে চাইছেন না। ফলে ভোট শান্তিপূর্ণ না হয়ে যায় কোথায়। আর ভোট যখন শান্তিপূর্ণ পুলিশের কাজ কী? তাই একটু দোদুল দোলা। মন্দ কী?