পচা মুরগির মাংসকাণ্ডে তল্লাশি! এইভাবেই পুলিশের নাগালের বাইরে মূল অভিযুক্ত
কলকাতায় পচা মুরগির মাংস কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কওসর আলি ঢালির খোঁজে তল্লাশি পুলিশের। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু সেরকম কোনও সাফল্য পায়নি পুলিশ।
কলকাতায় পচা মুরগির মাংস কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কওসর আলি ঢালির খোঁজে তল্লাশি পুলিশের। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু সেরকম কোনও সাফল্য পায়নি পুলিশ।
শনিবার বসিরহাটে কওসর আলি ঢালির শ্বশুর বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। তবে এই তল্লাশির খবর কোনওভাবে পেয়ে গিয়েছিল কওসর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কওসর আগেই শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তবে কওসরের সঙ্গে তার পরিবার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের অনুমান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নয়, কওসর গিয়েছে ভিন রাজ্যে। তবে সঙ্গে পরিবার থাকায় কওসরের টাকার দরকার পড়বেই। মোবাইল কিংবা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলেই তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যাওয়া যাবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডে তল্লাশি চালাতে গিয়েই পুলিশ খোঁজ পায় নিউটাউনের ফ্রিজারের। কওসর আলি ঢালির নামও জানা যায়। সেখান থেকে মরা মুরগি চালান করা হত বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। রাসায়নিকে চুবিয়ে হিমাঙ্কের ৪০ ডিগ্রির নিচে রাখা হত মাংসকে। এরপর গন্ধ দূর করতে চকচকে ভাব আনতে মেশানো হত একাধিক রাসায়নিক।
গত সপ্তাহের শুক্রবার নিউটাউনের এক গুদামে পচা মাংসের সন্ধানে তল্লাশি চলে। সেখানেই ৯ টি ফ্রিজারে রাখা কয়েকটন পচা মুরগির মাংসের সন্ধান পায় পুলিশ। পুলিশ গুদামের সব মাল বাজেয়াপ্ত করে। তবে অভিযুক্ত কৌসর আলি ঢালিকে ধরতে পারেনি পুলিশ। সেখান থেকে খোঁজ মেলে লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির ঠিকানার। সেখানেও তল্লাশি চালায় পুলিশ।