ভাগাড় মাংস কাণ্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ! শহর-শহরতলিতে তল্লাশি
ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডে শহর ও শহরতলিতে তল্লাশি জারি রয়েছে। সোমবার রাতভর দুই অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় বিশেষ তদন্তকারী দল। বিরাটি ও এয়ারপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চলে।
ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডে শহর ও শহরতলিতে তল্লাশি জারি রয়েছে। সোমবার রাতভর দুই অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় বিশেষ তদন্তকারী দল। বিরাটি ও এয়ারপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চলে। এদিকে দুই অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার তাদের ফের ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করা হয়।
ভাগাড় মাংস কাণ্ডে ধৃতদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে যেমন একাধিক অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে, ঠিক তেমনই কোন কোন জায়গায় অভিযুক্তরা সেই মাংস সরবরাহ করত সেই নামও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সোমবার রাতে দুই অভিযুক্ত সঙ্গে নিয়ে বিরাটি, এয়ারপোর্ট এলাকার এরকমই বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাদের কাছে থাকা মাংসের মান যাচাই করার জন্য তা সংগ্রহও করেন তদন্তকারীরা।
নিউটাউন ও লেকটাউন থেকে খোঁজ পাওয়া পচা মাংসের বিক্রেতা কওসর আলি ঢালির খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বসিরহাট ছাড়াও বনগাঁয়ও তার ব্যবসার জাল ছড়িয়ে রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই সব জায়গাতেও পুলিশি নজরদারি শুরু হয়েছে।
এর আগেই ভাগাড় মাংস কাণ্ডে ধৃতদের জেরা করে উঠে আসে ৫ জন লিঙ্কম্যানের নাম। এঁদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে পুলিশ। এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে পারলে ভাগাড় এবং পচা মাংস কাণ্ডে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত ভাগাড়ের মাংসের জাল। কলকাতা ও আশপাশের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ছাড়াও বিদেশেও পাচার করা হত এই পচা মাংস। রাসায়নিকে চুবিয়ে হিমাঙ্কের ৪০ ডিগ্রির নিচে রাখা হত মাংসকে। এরপর গন্ধ দূর করতে চকচকে ভাব আনতে মেশানো হত একাধিক রাসায়নিক।
প্রথমে জবজ ভাগাড় দিয়ে পচা মাংসের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর একএক জন ধরা পড়ার পর এর জাল সম্পর্কে তথ্য সামনে আসতে তাকে। ট্যাংরা, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া কল্যাণীর ভাগাড়ের নামও এর সঙ্গে জুড়ে যায়। সামনে আসে নারকেলডাঙার ফ্রিজারের তথ্য। তল্লাশিতে প্রকাশ হয়ে পড়ে নিউটাউনের পচা মুরগির ফ্রিজারের তথ্যও।