শহর-শহরতলির নতুন নতুন জায়গায় পচা মাংসের খোঁজ! চলছে পুলিশের তল্লাশি
ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডে এবার তল্লাশি লেকটাউনেও। শুক্রবার রাতভর নিউটাউন, ট্যাংরা-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় বিশেষ তদন্তকারী দল। সেই সময় লেকটাউনের খোঁজ পাওয়া যায়।
ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডে এবার তল্লাশি লেকটাউনেও। শুক্রবার রাতভর নিউটাউন, ট্যাংরা-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় বিশেষ তদন্তকারী দল। সেই সময় লেকটাউনের খোঁজ পাওয়া যায়। তবে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছনোর আগেই উধাও অভিযুক্ত।
শুক্রবার নিউটাউনের এক গুদামে পচা মাংসের সন্ধানে তল্লাশি চলে। সেখানেই ৯ টি ফ্রিজারে রাখা কয়েকটন পচা মুরগির মাংসের সন্ধান চায় পুলিশ। পুলিশ গুদামের সব মাল বাজেয়াপ্ত করে। তবে অভিযুক্ত কৌসর আলি ঢালিকে ধরতে পারেনি পুলিশ। সেখান থেকে একটি রেজিস্ট্রার উদ্ধার করে। সেখানেই শহরের একাধিক হোটেল ও রেস্তোরাঁর সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে খোঁজ মেলে লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির ঠিকানার।
তবে সঙ্গে সঙ্গে লেকটাউনে তল্লাশি চালিয়েও অভিযুক্ত কৌসর আলি ঢালির সন্ধান পায়নি পুলিশ। জানা গিয়েছে কৌসর আদতে বসিরহাটের বাসিন্দা। নিউটাউনের সঙ্গে দক্ষিণদাঁড়িতে দুটি মাংসের দোকান ছিল তার। লেকটাউনে বন্ধ দোকানের মধ্যেও ফ্রিজারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেই ফ্রিজারে রাখা মাংস ছয় থেকে সাত মাসের পুরনো বলে অনুমান পুলিশের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার খুব কম সময়ের মধ্যে কৌসর আলি ঢালি দক্ষিণদাঁড়িতে থাকা জ্যান্ত মুরগি নিয়ে উধাও হয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিনই সেখানে মরা মুরগি নামানো হত।
স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু, ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন। তবে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি আগে জানা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।