ভাগাড়ের মাংস যেত হিমঘরে! আরও কী বলছে পুলিশ, জেনে নিন
পচা মাংস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৬। সপ্তাহ খানেক আগে এই কাণ্ডের হদিশ পাওয়ার পর কলকাতা-সহ বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সানিকে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পচা মাংস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৬। সপ্তাহ খানেক আগে এই কাণ্ডের হদিশ পাওয়ার পর কলকাতা-সহ বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সানিকে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হওয়া মাংল পুরসভার তরফে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট নয়জনকে।
সপ্তাহ খানেক আগে বজবজের ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখান থেকে হাতে নাতে ধরা পড়ে বজবজ পুরসভার কর্মী রাজা মল্লিক এবং এক ট্যাক্সিচালক।
এরপরে ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও-এর নেতৃত্বে এবং কলকাতা পুলিশের সদস্যদের নিয়ে একটি তদন্তকারী দল গঠিত হয়।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল পাণ্ডা সানির খোঁজ পাওয়া যায়। খোঁজ পাওয়া যায় নারকেলডাঙায় এক হিমঘরের। কিন্তু সে আগেভাগেই পালিয়ে যায় বিহারে। পরে সেখান থেকে সানিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তদন্তে উঠে আসের কলকাতা ও আশপাশের আরও ভাগাড়ের নাম। এর মধ্যে রয়েছে, সোনারপুর, ট্যাংরা, জগদ্দল, কাঁকিনাড়ার ভাগাড়। পুলিশের অনুমান, ভাগাড়গুলিকে ভাড়া করা লোক থাকত। সেখানে কোনও মরা পশু এসে পড়লেই খবর পৌঁছে যেন ঠিক জায়গায়। এর পর কাটা মাংস পৌঁছে যেত সেই হিমঘরে। সেখানে রাসায়নিকের সাহায্যে মাংস সতেজ রখা হত বলে সূত্রের খবর।
পুলিশের তল্লাশিতে হিমঘর থেকে প্রায় একহাজার প্যাকেট মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। ওজনে যা প্রায় ২০ টনের মতো।
আপাতত সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পচা মাংসের সঙ্গে ভাল মাংস মিশিয়ে প্যাকেট করা হতো। উদ্ধার হওয়া মাংস ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে।