করোনা সচেতনতা বাড়াতে গিয়ে হেনস্থার শিকার পুলিশকর্মী
করোনা সচেতনতা বাড়াতে গিয়ে হেনস্থার শিকার পুলিশকর্মী
শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার জন্য রাস্তায় বেরোনো অনুমতি আছে বাকি ক্ষেত্রে লকডাউন মেনে ঘর বন্দী থাকতে নির্দেশ কেন্দ্র ও রাজ্যের, শহর থেকে গ্রাম অলিগলি রাজপথ সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ব্যস্ত পুলিশ প্রশাসন। বুধবার এমনই ভাবে সচেতন করতে গিয়ে এক তরুনীর অভব্য আচরণের শিকার হলেন পুলিশকর্মী।
নাগরিকদের সচেতন করতে লাঠি হাতে নেয় পুলিশ
মঙ্গলবার থেকেই কলকাতা তথা গোটা রাজ্যের নাগরিকদের সচেতন করতে লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন পুলিশ প্রশাসন। কে কোথায় যাচ্ছেন, প্রমান সহ তা একে একে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়ছেন । যদি কোন বেগরবাই দেখেন তাহলে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত পুলিশের। বেধড়ক ঠ্যাঙানি খেতে হচ্ছে অকারনে আইন ভেঙে বাড়ির বাইরে বেরোনো মানুষজনদের।
তরুণীর অভব্য আচরণ
এদিন এমনই ভাবে প্রমাণ দেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে এক তরুণীর নির্যাতনের শিকার হলেন বিধান নগর পুলিশ কমিশনার এলাকার এক পুলিশকর্মী। জুটল অকথ্য গালিগালাজও। পুলিশের সাথে অভব্য আচরণের সাক্ষী থাকল সল্টলেক এলাকা।
কী হয়েছিল?
জানা
গিয়েছে,
সল্টলেক
পিএনবি
মোড়ের
কাছে
লকডাউনের
জন্য
নাকা
চেকিং
করছিল
পুলিস।
তখন
একটি
অ্যাপ
ক্যাবে
পিকনিক
গার্ডেন
এলাকা
থেকে
২
জন
আসেন।
পিএনবি
মোড়ের
কাছে
গাড়িটিকে
আটকানো
হয়।
জানতে
চাওয়া
হয়
কোথা
থেকে
আসছেন
?
কোথায়
যাবেন
?
নাকা
চেকিং
এর
এটাই
নিয়ম।
তাই
নিয়ম
মেনে
এগুলোই
জিজ্ঞাসা
করে
পুলিস।
ঠিক
তখনই
গাড়ি
থেকে
নেমে
এসে
অকথ্য
ভাষায়
পুলিসকে
গালিগালাজ
করে
ওই
তরুণী।
এরপরই
ওই
তরুণী
এক
পুলিসকর্মীর
ইউনিফর্ম
চেটে
দেয়।
তার
গালে
একটি
ফোঁড়া
ছিল।
সেটি
খুঁচিয়ে
রক্ত
বের
করেও
পুলিশ
কর্তার
সাদা
ইউনিফর্মে
লাগিয়ে
দেয়
ওই
তরুণী।
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণীর নাম শর্মিষ্ঠা দেবনাথ। বয়স ২৪ বছর। তার সাথে থাকা ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ওই তরুণীর বন্ধু নির্মল বাল্মিকী (৩০) ও গাড়িচালক জাভেদ খান (৩৬)। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে মানুষের সচেতনতা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, পুলিসকে উদ্দেশ করে ওই তরুণীকে বলতে শোনা যায়, 'এই যে করোনা, এই যে করোনা।' রাস্তার উপর পুলিসের সঙ্গে তরুণীর এহেন আচরণে হকচকিয়ে যায় অন্যরাও। মোবাইল বের করে ছবি তুলতে থাকে অনেকে। বুধবার ভরদুপুরে এই ঘটনায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের এত রকমের সচেতন করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় এতো সচেতনতা মূলক পোস্টের পরেও মানুষের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।