'চেষ্টা' সত্ত্বেও শব্দদানবের দাপাদাপি! দিওয়ালির রাতের পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা
ওপরে ওপরে চেষ্টার ত্রুটি না থাকলেও, শব্দবাজি আটকাতে কার্যত ব্যর্থ কলকাতা পুলিশ। সন্ধের পর থেকেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় শব্দবাজির দাপাদাপি শুরু হয়ে যায়।
ওপরে ওপরে চেষ্টার ত্রুটি না থাকলেও, শব্দবাজি আটকাতে কার্যত ব্যর্থ কলকাতা পুলিশ। সন্ধের পর থেকেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় শব্দবাজির দাপাদাপি শুরু হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বেধে দেওয়া সময়সূচিও কোনও কাজে দেয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। কালী পুজোর রাতেই যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে দিওয়ালির রাতে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় অনেকেই।
লালবাজারের একের পর এক অভিযোগ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাত এগারোটা পর্যন্ত লালবাজারে অভিযোগ জমা পড়েছে ৬৪ টি । শব্দদানবের তাণ্ডব নাগালে আনতে চেষ্টার যে খামতি ছিল না তাও প্রকাশ করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। তাদের দাবি, বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি আটকের পাশাপাশি গ্রেফতারের সংখ্যা একশোর কাছে।
জেলাতেও পরিস্থিতি একই রকমের
অভিযোগ, শহর ছাড়িয়ে শহরতলি কিংবা জেলাগুলির পরিস্থিতিও ছিল একই রকমের। বেহালা থেকে বাগুইআটি কিংবা হাওড়া, হুগলি, শব্দ বাজি ফেটেছে দেদার। সুপ্রিম কোর্টের বেধে দেওয়া সময় ছিল রাত ৮ টাক থেকে ১০টা। কিন্তু রাতের বিভিন্ন মণ্ডপে কালী পুজো শুরুর আগে কিংবা পরেও বাজি ফাটানো হয়েছে দেদার। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের চেষ্টা বিফলে
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের তরফেই বহুতলের ছাদে তালা দেওয়া হলেও, তা অনেক ক্ষেত্রেই কাজে আসেনি।
দিওয়ালির রাতের পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ে শঙ্কা
অনেকেই বলছেন বিষয়টি নিয়ে বেশিরভাগ অংশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। না হলে প্রশাসনিক উদ্যোগ সফল হবে না। সেক্ষেত্রে দিওয়ালির রাতের সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসন, সবাই।