প্রবল ধ্বস্তাধস্তি'র পর গুলি করে খুন দম্পতিকে? যা জানাচ্ছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার
কলকাতা'র বুকে নৃশংস হত্যা-কাণ্ড! তাও আবার কিনা একেবারে 'হাইভোল্টেজ' এলাকাতে। ভর সন্ধ্যায় খুন গুজরাতি ব্যবসায়ী অশোক শাহ এবং স্ত্রী রশ্মিতা শাহ। স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে নাগরিক সুরক্ষা। যদিও ঘটনার পরেই হরিশ মুখার্জী রোড অর্থ
কলকাতা'র বুকে নৃশংস হত্যা-কাণ্ড! তাও আবার কিনা একেবারে 'হাইভোল্টেজ' এলাকাতে। ভর সন্ধ্যায় খুন গুজরাতি ব্যবসায়ী অশোক শাহ এবং স্ত্রী রশ্মিতা শাহ। স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে নাগরিক সুরক্ষা। যদিও ঘটনার পরেই হরিশ মুখার্জী রোড অর্থাৎ ঘটনাস্থল পুরো ঘিরে ফেলা হয়েছে। ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
কীভাবে ঘটনা তা একেবারে সরজমিনে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। কথা বলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার জানান, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে গুলি কিনা সেটি নিশ্চিত এখনও নয় বলে জানান বিনীত গোয়েল। এমনকি ক্ষত কি কারণে সেটিও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে পুলিশের একটি সূত্রে বলছে, গুলি করেই অশোক শাহকে।
তবে গুলি চলার আগে ব্যাপক ভাবে ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ আধিকারিকরা। এমন কিছু প্রমাণ ঘর থেকে পেয়েছেন বলেও কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে ভবানীপুরের অভিজাত এলাকা থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের কাজ হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে স্থানীয় থানা, হোমিসাইড বিভাগ এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। তবে ঠিক কি কি জিনিস খোয়া গিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই খবর। তবে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, আত্মীয়দের নিয়ে সেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে কলকাতা পুলিশের তরফে ফ্ল্যাটটি শিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তবে হাইভোল্টেজ এলাকায় এই ঘটনায় রীতিমত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকার মানুষ। তবে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তদন্তকারীরা বলছেন, যে সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে সেই সময়ে বাড়িতে দম্পতি ছাড়া কেউ ছিলেন না! মেয়ে বাইরে ছিলেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই রেইকি করেছেন আততায়ীরা? বাড়িতে লোকসংখ্যা কম থাকার কারণে ওই সময়টাইকেই বেছে নিলেন আততায়ীরা? তবে সমস্ত উত্তর খুঁজতে পুলিশের হাতে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিই ভরসা।
ভিভিআইপি এলাকা হওয়ার কারণে এলাকার রন্ধ্রে রন্ধ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রিয়েছে। ইতিমধ্যে সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই খবর। তদন্তকারীরা মনে করছেন এলাকায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাই রহস্য ভেদ করতে সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য, এদিন সন্ধ্যায় এই খুন হয়। বাড়িতে এসে ছোট মেয়ে দেখেন দরজার কাছেই রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে মেয়ে। এমনকি কিছুটা এগোতেই বাবা'র দেহও উদ্ধার হয়। কার্যত এহেন হাড়হিম ঘটনা দেখে চমকে ওঠেন সে। এরপরেই ভবানীপুর থানায় পুরো বিষয়টি জানানো হয়।