মাথায় হেলমেট নেই কেন? বলেই পুলিশের বেধড়ক মার বাইক চালককে, ভাইরাল হল ভিডিও
যাকে বলে আলটিমেট দাদাগিরি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ভার তো তাদের হাতেই। তাই তাঁদের কথা না শুনে পালালে হবে! ধরা পড়লে তো চাক্ষুষ করতেই হবে ক্ষমতার হাতটাকে।
যাকে বলে আলটিমেট দাদাগিরি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ভার তো তাদের হাতেই। তাই তাঁদের কথা না শুনে পালালে হবে! ধরা পড়লে তো চাক্ষুষ করতেই হবে ক্ষমতার হাতটাকে। পুলিশের ক্ষমতাকে যাকে বলে চ্যালেঞ্জই করেছিল এক যুবক। ব্যাস, আর যাবেন কোথায় রাস্তার মধ্যেই কয়েক মিনিটে যেভাবে পুলিশের চড়, কিল এসে পড়ল তাতে যেন মনে হলে জালে চোর পড়েছে।
সোনারপুর-রাজপুরে মেইন রোডের উপরে তোলা পুলিশের এই মারমুখী ভিডিও এখন ভাইরাল হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন শুক্রবার সোনারপুর পুলিশ দেখিয়েছিল গাঁধীগিরির ছবি। আর শনিবার দেখাল দাদাগিরির ছবি।
দিন কয়েক ধরেই সোনারপুর পুলিশ এলাকার বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। সেইসঙ্গে হেলমেটহীন বাইক চালক ও আরোহীদেরও ফাইন করা হচ্ছে। শুক্রবার সোনারপুরে এক ব্যক্তি মোটরবাইকে তাঁর দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এদের কারোরই মাথায় হেলমেট ছিল না। এই পুলিশ কর্মী এই দেখে মানিব্যাগ থেকে পাঁচশো টাকার নোট বের করে ওই ব্যক্তিকে দিতে যান হেলমেট কেনার জন্য। এতে লজ্জিত ওই ব্যক্তি পুলিশকর্মীর কাছ থেকে টাকা না নিয়ে বাকি রাস্তা মোটরবাইক হাঁটিয়ে নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
শনিবারও সোনারপুর পুলিশের এই বিশেষ অভিযান চলছিল। রাজপুর-সোনারপুর রোডে দুই যুবক হেলমেট না পরেই মোটরবাইক নিয়ে আসছিলেন। প্রথম ব্যারিকেডে গাড়ি না থামানোতেই রে রে করে পুলিশ তেড়ে আসে বলে অভিযোগ। সামনে থেকে পুলিশ এসে বাইকটিকে ধরে ফেলে। এরপর চারিদিক থেকে ছুটে এসে পুলিশকর্মীরা চড়, থাপ্পড় মারতে থাকেন। ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে থাকা ডিএসপি ক্রাইম সুমনান্দ সরকার। তিনিও এসে আরও জোরে মারতে থাকেন মোটরবাইকের চালক যুবককে।
পুলশের এই মারমুখী মেজাজের ভিডিও ধরা পড়ে যায় মোবাইল ক্যামেরায়। পরে তা সোশ্য়াল মিডিয়ায় কেউ আপলোড করে দিতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। রাস্তায় নিয়ম ভঙ্গকারীকে ধরার অধিকার আছে পুলিশের। কিন্তু, হেলমেট না পরে মোটরবাইক চালালে সাধারণত ফাইন করাটাই নিয়ম। কিন্তু তা বলে মারধর! ভিডিও-টিতে যা বোঝা যাচ্ছে পুলিশই হেলমেট না পরার কারণ জানতে চাওয়ার থেকে মারধরেই বেশি আগ্রহী ছিল। এভাবে কাউকে মারধরের এক্তিয়ার পুলিশের আছে কি না তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।