বর্ষবরণের রাতে বালিগঞ্জে শ্লীলতাহানি! পুলিশ হেফাজত ৬ অভিযুক্ত
বর্ষবরণের রাতে বালিগঞ্জ থানা এলাকার পদ্মপুকুরে এক তরুণী ও তাঁর সঙ্গীদের মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ছয়জনকে।
বর্ষবরণের রাতে বালিগঞ্জ থানা এলাকার পদ্মপুকুরে এক তরুণী ও তাঁর সঙ্গীদের মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ছয়জনকে। মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল সুমিত পোদ্দার এবং রোহিত পাসোয়ানকে। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল ইন্দ্রজিত হালদার, সন্তু মণ্ডল, বিশ্বজিত পাত্র এবং সোমনাথ পাত্র। সব অভিযুক্তেরই পুলিশ হেফাজত হয়েছে। হেফাজতে তাদের থেকে বাকি সঙ্গীদের নাম জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনন্দপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বছরের শেষ দিনে পদ্মপুকুরে গিয়েছিলেন। রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়ি ফেরাল সময় মদ্যপ যুবকরা কটুক্তি করতে শুরু করে। তরুণী ও সঙ্গীরা প্রতিবাদ করলে ব্যাপক মারধর করা হয়। মদ্যপ যুবকরা তরুণীকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। জামাকাপড় ধরেও টানাটানি করা হয়। ঘটনায় তরুণীর এক আত্মীয়ের মাথা ফাটে। নাকের হাড় ভেঙে যায়। বোনের দাঁত ভেঙে যায়। পরে কোনও রকমে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁরা বালিগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের রেন। থানায় অভিযোগ জানানো পর তরুণীর হবু স্বামীকে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হয়।
বর্ষবরণের রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় সাহায্য চাইলেও, কেউ গাড়ি থামাননি। আশপাশের বহুতলের নিরাপত্তারক্ষীরাও এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। এ কোন কলকাতায় তাঁরা বাস করছেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন আক্রান্তরা।
ঘটনার পরেই এলাকার সিসিটিভি পরীক্ষা করে দেখে পুলিশ। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ কর্তাদের দাবি, এই ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্রে। তবে এলাকায় কোনও গণ্ডগোল হলেই বারবার কেন পেয়ারাবাগান বস্তির নাম উঠে আসছে, কেন সেখানকার দুর্বৃত্তদের দমন করা যাচ্ছে না, তা নিয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধৃতদের মধ্যে একাধিক যুবক, বালিগঞ্জ থানা চত্বরে মোটর ভেহিকেলসের দফতরের দালাল হিসেবে কাজ করে। ইন্দ্রজিৎ হালদার এবং সন্তু মণ্ডল এলাকায় সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত।