নোটের আকালে কালোবাজারি চক্র চালাচ্ছে পুলিশ, উপনির্বাচনের আগে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
কালো টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে কালোবাজারি চক্র আরও মজবুত হয়েছে রাজ্যে। এখন নোটের আকালে রাজ্যজুড়ে চলছে প্রবল কালোবাজারি। এর মধ্যে সবথেকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারে।
কোচবিহার, ১৮ নভেম্বর : কালো টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে কালোবাজারি চক্র আরও মজবুত হয়েছে রাজ্যে। এখন নোটের আকালে রাজ্যজুড়ে চলছে প্রবল কালোবাজারি। এর মধ্যে সবথেকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গের এই জেলায় উপনির্বাচনের আগে কালোবাজারির রমরমা। আর এই কালোবাজারির ঘটনায় উঠে এসেছে খোদ পুলিশের নাম। পুলিশই নাকি চালাচ্ছে এই জাল নোট চক্র! বিস্ফোরক এই অভিযোগ এনেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনেও জমা পড়েছে এই অভিযোগ।
অভিযোগ, ভোটের আগে কোচবিহারের ব্যাঙ্ক লাইনে থিক থিক করছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভিড়। কেন? সিভিক ভলেন্টিয়াররা হঠাৎ তাঁদের ডিউটি ছেড়ে ব্যাঙ্কের লাইনে কেন? স্বাভাবিকভাবেই উঠে পড়েছিল প্রশ্নটি। না, এটা অনস্বীকার্য যে সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও টাকার দরকার। দরকার পুরনো টাকা বদলে নতুন টাকার। কিন্তু কোচবিহারের এই চিত্র সন্দেহজনকই ঠেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ধারাবাহিকভাবে টাকা ভাঙানোর হিড়িকে।
৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণা হওয়ার পর কলকাতায় পুরনো নোট নিয়ে কালোবাজারি হয়েছে ব্যাপকভাবে। ১০০০ টাকায় মিলেছে খুচরো ৬০০-৭০০ টাকা। আর ৫০০ টাকায় ৩০০-৪০০ টাকা। এবার কোচবিহারে কালোবাজির নতুন নোট নিয়ে। রাত পোহালই কাল নির্বাচন। এখন যে টাকার দরকার প্রচুর। পুরনো নোট বাতিল হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন রাজনীতির কারবারিরা। তাই পন্থা খুঁজতে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রশাসনকেই। পুরো কালোবাজারি চক্রটি চলছে থানার তত্ত্বাবধানে। জেলার একাধিক থানার বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ।
অভিযোগ, প্রত্যেক সিভিক ভলান্টিয়ারকে থানা থেকেই ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরনো নোটে আড়াই হাজার টাকা। সেগুলি ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে, নতুন নোট আনার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। তারপর সেই টাকা নিয়ে চলছে কালোবাজারি। বিজেপির প্রশ্ন, কেন পুলিশ-প্রশাসন নোট বদলানোয় জোর দিয়েছে? নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। মিলেছে আশ্বাসও।