বিরূপ প্রকৃতিও পরাজিত উৎসব-আনন্দে, ছাতা মাথায় বিসর্জনে সামিল দর্শনার্থীরা
নবমীর রাতেও বৃষ্টি বাধ সাধতে পারেনি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জনতার ঢল নেমেছিল কলকাতার রাস্তায়। মণ্ডপে মণ্ডপে বাঁধ ভাঙা জনতার ভিড়। ছাতা মাথায় বিসর্জনেও সেই ভিড়।
বিসর্জনেও বাধ মানল না বৃষ্টি। ছাতা মাথায় বিসর্জনের শোভাযাত্রায় সামিল দর্শনার্থীরা। বিজয়া দশমীর সন্ধ্যাতেও শহরের অনেক পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন বৃষ্টি উপেক্ষা করে। সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি ঝরেই চলেছে। বিকেলে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে। সেই বৃষ্টিতে ভিজে বিসর্জনের আনন্দে মেতেছে আট থেকে আশি সকলেই।
নবমীর রাতেও বৃষ্টি বাধ সাধতে পারেনি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জনতার ঢল নেমেছিল কলকাতার রাস্তায়। মণ্ডপে মণ্ডপে বাঁধ ভাঙা জনতার ভিড়। যেন জন সুনামির রূপ নিয়েছিল কলকাতার দুর্গা-উৎসব। তারপর নবমীর রাত বলে কথা। যে রাতের পরই বিষাদের সুর বেজে উঠবে। তাই আনন্দ মাটি করতে চাননি কেউ।
শনিবার বিসর্জনেও সেই একই ছবি শহর কলকাতায়। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে বিসর্জন দেখার ভিড়। শোভাযাত্রায় মানুষজন সামিল হয়েছেন ছাতা হাতেই। বছরে একবার এই আনন্দ লাভ করেন দর্শনার্থীরা। তা কি কোনওভাবেই মাটি করা যায়! তাই প্রকৃতি মুখ ভার করে থাকলেও দর্শনার্থীদের উৎসাহ-উন্মাদনায় কোনও খামতি নেই।
মহেশতলার শুভায়ন পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির প্রতিমা নিরঞ্জনের ভিডিও
আবার কলকাতার বড় পুজোগুলোতে কিংবা এখনও যেখানে বিসর্জন হয়নি প্রতিমা, সেইসব প্যান্ডেলে ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। বিশেষ করে যারা নবমীর রাতে মুষলধারে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বের হওয়ার সাহস দেখাননি, তাঁদের ভিড়ে আজও জমজমাট ঠাকুর দর্শন কলকাতায়। দক্ষিণের সুরুচি সংঘ হোক বা উত্তরের কুমোরটুলি বা বাগবাজার সার্বজনীন- সেই চেনা ভিড় মণ্ডপে মণ্ডপে।