গরু পাচারে কেন্দ্রের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে মামলা হাইকোর্টে! যুক্ত করা হল অমিত শাহকেও
গরু পাচার নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপ
গরু পাচার নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহে'র শেষেই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। তবে মামলার গতিপ্রকৃতি কীভাবে এগোয় সেদিকেই নজর সবপক্ষের।
এই মুহূর্তে রাজ্যে গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এমনকি পাচার সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন আরও একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিধানসভা ভোটের আগেই কয়লা এবং গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এই দুই সংস্থা।
যদিও তদন্তে নেমেই বিএসএফের এক আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বেশ কিছু সূত্রকে সামনে রেখে তদন্ত করছে দুই তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, গরু পাচার মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
সেই মামলায় একাধিকবার শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতাকেও জেরা করেছে তদন্তকারীরা। টাকা নেওয়ারও অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও পালটা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। এমনকি উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে গরু নিয়ে আসা হচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বাংলাকে ট্রানজিন্ড রুট হিসাবেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
এমনকি সীমান্তের নিরাপত্তায় যেখানে বিএসএফ থাকে সেখানে বাংলাকে দায়ী করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর তা করা হচ্ছে বাংলাকে রাজনৈতিক ভাবে হেনস্থা করতেই। আর এই বিতর্কের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা আইনজীবীর।
মামলাকারী রমাপ্রসাদ সরকারের অভিযোগ, রাজ্যের সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে রমরমিয়ে চলছে গরু পাচার। সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কোথাও সিআইএসএফ , কোথাও বিএসএফ। কিন্তু তাদের নজরদারি এড়িয়ে কিভাবে চলছে এই গরু পাচার? এই গরু পাচার জনস্বার্থ মামলায় তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।
তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই বিষয়টি নজরদারির দায়িত্বে। এমনকি বিএসএফ-সিআইএসএফ সবই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। ফলে কিছুতেই অমিত শাহ এই ঘটনার দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না বলে দাবি আবেদনকারী আইনজীবীর। আর তাই এই মামলাতে অমিত শাহকেও যুক্ত করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।