'উন্নয়নের' হাতেই 'নগ্ন'-নিগ্রহ! দুশ্চিন্তার ছায়া সাংবাদিক মহলে
পঞ্চায়েত মনোনয়নের শেষ দিনে আলিপুরে আক্রান্ত চিত্র সাংবাদিক। অভিযোগ, বিরোধীদের ওপর হামলার ছবি তোলায় ওই চিত্র সাংবাদিককে উলঙ্গ করে মারধর করা হয়েছে। পুলিশের সামনে ঘটনা ঘটলেও, তাঁরা এগিয়ে যাননি
পঞ্চায়েত মনোনয়নের শেষ দিনে আলিপুরে আক্রান্ত চিত্র সাংবাদিক। অভিযোগ, বিরোধীদের ওপর হামলার ছবি তোলায় ওই চিত্র সাংবাদিককে উলঙ্গ করে মারধর করা হয়েছে। পুলিশের সামনে ঘটনা ঘটলেও, তাঁরা এগিয়ে যাননি বলেই অভিযোগ। প্রশাসন সূত্রে এই ধরনের ঘটনা একরকম অস্বীকার করা হয়েছে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা হলেও, এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই সংবাদকর্মী।
পঞ্চায়েতে মনোনয়ন পর্বের ছবি তুলতে গিয়ে উত্তরে কোচবিহার থেকে শুরু করে নলহাটি, মহম্মদবাজার, দুর্গাপুর কিংবা মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিকরা। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই আগে থেকে চিত্র সাংবাদিকরা যাতে ছবি না তোলেন, সেই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সতর্কবার্তা না শোনায় অনেকের ওপরই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। কারও ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে। কারও বা মোবাইল ভাঙা হয়েছে।
তবে সব ঘটনাকেই ছাপিয়ে গিয়েছে সোমবারের আলিপুরের ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাসদর আলিপুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাসদর হলেও আলিপুর রয়েছে কলকাতা পুলিশের অধীন। এই আলিপুরেই পুলিশকর্মী ফাইল হাতে টেবিলের তলায় লুকিয়েছিলেন তৃণমূলের হামলা থেকে বাঁচতে। সেই আলিপুরেই এবার সাংবাদিক নিগ্রহ।
অভিযোগ, লাঠি হাতে, বিরোধীদের ওপর হামলার ছবি তোলায় চিত্র সাংবাদিককে মারতে মারতে উলঙ্গ করে ঘরে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ওই চিত্র সাংবাদিকের অভিযোগ, তাঁর ওই ছবি ফেসবুকে আপলোড করার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে অবশ্য অন্য সহকর্মী-বন্ধুরা সেখানে চলে যাওয়ায় রক্ষা পান ওই চিত্র সাংবাদিক।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, রাস্তার দাঁড়িয়ে রয়েছে উন্নয়ন। সেই উন্নয়ন দেখেই বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে ফিরে আসবেন। মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার পর বেরিয়ে আসে আসল চিত্র। বিডিও কিংবা এসডিও অফিসের সামনে লাঠি কিংবা অস্ত্র হাতে শাসকদলের লোকেদের দেখা গিয়েছে। তবে সেই চিত্র শুরু বীরভূমের নয়, সেই চিত্র দেখা গিয়েছে আলিপুর, কিংবা বারুইপুরেও।