পিজি-তে হবে স্থায়ী দমকলকেন্দ্র, এসএকেএমে অগ্নিকাণ্ডে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর
এসএকেএমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এসএসকেএম হাসপাতালে স্থায়ী দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। একইসঙ্গে এসএসকেএমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা, ২১ নভেম্বর : এসএসকেএমে স্থায়ী দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এসএকেএমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এসএসকেএম হাসপাতালে স্থায়ী দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। একইসঙ্গে এসএসকেএমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দমকল, পুলিশ ও হাসপাতালকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিনই হাসপাতালে গিয়ে স্থায়ী দমকল কেন্দ্র স্থাপনের জন্য একটি জায়গা চিহ্নিত করে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই জায়গায় আপাতত দু'টি ইঞ্জিন যাতে আগামীকাল থেকেই রাখা হয়, দমকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইড্রোলিক ল্যাডারও পাকাপাকিভাবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর দমকল আসতে স্বাভাবিকভাবেই দেরি হয়।
সেই সমস্যা দূর করতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পিজি-তে স্থায়ী দমকলকেন্দ্র স্থাপনের। পিজিতে একজন ফায়ার ব্রিগেডের একজন আধিকারিক ও দু'জন কর্মী সর্বদা থাকবেন। কাছাকাছির মধ্যেই পিজি, বাঙ্গুর-সহ একাধিক হাসপাতাল রয়েছে। আগুন লাগলে তড়িঘড়ি পিজি দমকল কেন্দ্র থেকে ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভাতে পারবে। তারপর কাছাকাছি ফায়ার ব্রিগেড থেকে দমকল এসে আগুন নেভানের কাজ দ্রুত সারতে পারবে।
মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই আগুন লাগার পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করেছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন দমকল, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তাদের। এদিন দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছলেও, তাতে জল ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর স্কাই লিফট আনা হয় অগ্নিকাণ্ডের দেড়ঘণ্টা পরে। কেন এই বিলম্ব, কোথায় গাফলতি, তাও খতিয়ে দেখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দু'জন হাসপাতাল কর্মীর কোনও খোঁজ মিলছে না। তাঁরা আহত হয়েছেন, কোথাও ভর্তি আছেন, নাকি অন্যত্র চলে গিয়েছেন, তা জানারও চেষ্টা চলছে।
এদিন এসএসকেএমে পৌঁছে আগুন নোভানের কাজে তদারকি করেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বস্ত করেছেন রোগী ও রোগীর পরিজনদের। অগ্নিকাণ্ডের পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
রোনাল্ড রস বিল্ডিংয়ে লাইব্রেরি রুম থেকেই আগুন ছড়ায় বলে জানা গিয়েছে। ওই লাইব্রেরির আশেপাশের ঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে হাসপাতালকর্মীদের তৎপরতায় তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়। স্বাস্থ্য সচিব জানান, কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যে জায়গায় আগুন লাগে সেখানে কিছু পেপার্স ও বই ছিল। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে আগুন।