জেল-যোগের ফাঁড়া রয়েছে কপালে! জ্যোতিষীর পরামর্শে লক-আপে রাত কাটানোর হিড়িক
তাঁরা কেউ দাগী অপরাধী নন। কেউ কোনও অন্যায়ও করেননি। তবু তাঁরা জেলে রাত কাটাচ্ছেন। না, পুলিশ তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে যায়নি, তাঁরা স্বেচ্ছায় জেলে যাচ্ছেন।
তাঁরা কেউ দাগী অপরাধী নন। কেউ কোনও অন্যায়ও করেননি। তবু তাঁরা জেলে রাত কাটাচ্ছেন। না, পুলিশ তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে যায়নি, তাঁরা স্বেচ্ছায় জেলে যাচ্ছেন। শুনলেই অবাক লাগছে, না! কিন্তু এটাই সত্যি। কেন তাঁরা জেলে যাচ্ছেন, জানেন। ওঁদের কপালে নাকি জেল-যোগ রয়েছে। তাই আগেভাগে শ্রীঘরে গিয়ে ফাঁড়া কাটাচ্ছেন ওঁরা।
একেবারে অবাক করা এক কাণ্ড! আর এই অবাক ঘটনা উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। সাধারণ নিরপরাধ মানুষ পুলিশের কাছে এসে আর্জি জানাচ্ছেন, একরাত জেলে কাটাতে চান বলে! প্রশাসনের কাছে আবেদনের বোঝা জমা হয়েছে। অন্তত একরাত তাদের কাটাতে দেওয়া হোক পুলিশ লক-আপে। আজব এই আবেদনে বিপাকে পড়েছে যোগী প্রশাসন।
আদালতের নির্দেশ ছাড়া জেলে রাখা যায় না কাউকে। তাই ভাবনা-চিন্তা করে একটা উপায় বের করা হয়েছে, পুলিশ লক-আপে তাঁদের রাখা যেতে পারে। সেইমতো পুলিশ লক-আপে রাত কাটাচ্ছেন নিরপরাধ সাধারণ মানুষ। পুরো এক দিন অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা শ্রীঘরে কাটিয়ে তাঁরা ফিরছেন বাড়ি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেশায় ব্যবসায়ী রমেশ সিংয়ের জন্ম কুণ্ডলী অর্থাৎ কুষ্ঠিতে জেল যোগ রয়েছে। তাই এই ফাঁড়া কাটাতে তাঁকে ২৪ ঘণ্টা জেলে থাকতে হবে। জ্যোতিষীর এই নিদান পেয়ে তিনি প্রশাসনের কাছে একরাত জেল হেফাজতে কাটানোর আবেদন করেন। সেইসঙ্গে তিনি তাঁর ঠিকুজি-কুষ্ঠিও জমা দেন প্রমাণস্বরূপ।
[আরও পড়ুন: ৮৫ বছর বয়সে 'সেক্স চেঞ্জ' করে মহিলা হলেন ব্রিটেনের জেমস ]
ওই ব্যবসায়ী জানান, তাঁকে জ্যোতিষী জানিয়েছেন তাঁর জেল-যোগের কথা। তাঁর কুষ্ঠির ফলেও এই জেল যোগের কথা উল্লেখ রয়েছে। জ্যোতিষী তাঁকে জানান, তাঁর এই জেল যোগের ফাঁড়া কাটানোর একমাত্র উপায়, এক রাত জেল হেফাজতে থাকা। সেইমতোই তিনি আবেদন করেছিলেন এবং প্রশাসনের অনুমতিও পেয়েছেন। তবে জেলে নয়, তাঁকে পুলিশ লক-আপে রাত কাটানোর অনুমতি দেয় প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: কয়েকটা দিনের অপেক্ষা! দুটো বড় উইকেট পড়ার আশায় মুকুল]
প্রশাসনের অনুমতিক্রমে তিনি মে মাসে একরাত জেলে কাটান। আইন মেনে তাঁকে পুলিশ লক-আপে রাখা হয়। এরকম ভুরি ভুরি আবেদনপত্র জমা হয়েছে যোগী প্রশাসনের কাছে। তাঁরা একরাত করে কাটিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ লক-আপে। দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে আসছে বলে জানিয়েছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিষ বিভাগ।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত প্রশ্নে নমনীয় তৃণমূল! নাম নির্বাচন নিয়ে সমাধান সূত্র বাতলে দিলেন মমতা]