এমারজেন্সি ওয়ার্ডের ডেক্সে উঠে তাণ্ডব-নৃত্য উন্মত্ত জনতার, জনরোষে পিয়ারলেস হাসপাতাল
কেউ উঠে পড়েছেন এমারজেন্সি ওয়ার্ডের ডেক্সে। কেউ আবার ডেক্সের উপরে থাকা কম্পিউটারগুলোকে খেলনার মতো আছড়ে ভেঙে ফেলছেন। উন্মত্ত জনতার এমন তাণ্ডব-নৃত্যে ত্রাহি-ত্রাহি রব।
কেউ উঠে পড়েছেন এমারজেন্সি ওয়ার্ডের ডেক্সে। কেউ আবার ডেক্সের উপরে থাকা কম্পিউটারগুলোকে খেলনার মতো আছড়ে ভেঙে ফেলছেন। উন্মত্ত জনতার এমন তাণ্ডব-নৃত্যে ত্রাহি-ত্রাহি রব। সোমবার সকালে এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটল কলকাতার ই এম বাইপাস সংলগ্ন পিয়ারলেস হাসপাতালে।
জনতার উন্মত্তায় কম্পিউটারের এলইডি স্ক্রিনগুলো ঝুড়-ঝুড়় করে ঝরে পড়ছিল। খুলে বেরিয়ে যাচ্ছিল মনিটরের প্যানেল। এমনকী ডেক্সের নিচে থাকা কমপিউটারের সিপিইউ-গুলো রেহাই পায়নি এই জনরোষের হাত থেকে। এমারজেন্সি ওয়ার্ড ছেড়ে তখন পালিয়ে যান সমস্ত কর্মী। কিন্তু, রোগীর দল তখনও তাঁদের বেডে শুয়ে। তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে উন্মত্তার জনতার সামনে যাওয়ার সাহস কেউ-ই দেখাতে পারেছিলেন না। পরে পঞ্চসায়র থানার পুলিশ এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। দিন কয়েক আগে এই হাসপাতালে বছর বিরাশির এক রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর পরিবারের কাছে পৌঁছয়। এরপরই পিয়ারলেস হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয় পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, বয়স্ক রোগী দেখে চিকিৎসায় সেভাবে নজরই দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: বীরভূমে পাচন-হেঁয়ালি! রথ বের করবে তৃণমূলও, বিরোধীদের বার্তা অনুব্রত-র, দেখুন ভিডিও]
চিকিৎসায় গাফলতির অভিযোগ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা বাঁধে রোগীর পরিবারের। পিয়ারলেস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা উত্তেজিত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে কোনও কাজ হয়নি। উল্টে মৃত রোগীর পরিবারের লোকজন ভাঙচুর শুরু করেন। এমনকী, এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সিনিয়র চিকিৎসকের জামার কলার চেপে ধরে গালিগালাজ দেওয়া হয়। ওই চিকিৎসক কোনওমতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজের কেবিনে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এমারজেন্সি-তে থাকা রোগীদের অনেক পরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে সমর্থ হন হাসপাতালের কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! বাড়তি ছুটির ঘোষণা নবান্নের]
পিয়ারলেস হাসপাতালের অন্ততম অধিকর্তা অরিন্দম মিত্র জানিয়েছেন, ২৫ থেকে ২৬ জনের একটি দল এই হামলা চালিয়েছে। পঞ্চশায়র থানার পুলিশ যথাসময়ে না এলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারত বলেও মনে করছেন তিনি। আপাতত সিসিটিভ ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। যদিও, চোখে-মুখে আতঙ্ক লেগে রয়েছে হাসপাতালের কর্মীদের।
[আরও পড়ুন: অতি সত্রিয় ঘূর্ণিঝড় গাজা! হঠাৎই দিক ও বেগ পরিবর্তন]