৩ বছরের শিশুর চিকিৎসায় হয়রানি! পায়ে পেরেক নিয়ে ঘুরলে হল বিভিন্ন হাসপাতালে
পায়ে পেরেক ফোটা অবস্থায় ৩ বছরের শিশুর চিকিৎসায় হয়রানির অভিযোগ।
পায়ে পেরেক ফোটা অবস্থায় ৩ বছরের শিশুর চিকিৎসায় হয়রানির অভিযোগ। এক হাসপাতাল পরিকাঠামো না থাকার কথা বলে তো, অন্য হাসপাতাল জানায় শিশু চিকিৎসক নেই। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, শেষে এনআরএস-এ বলা হয় পেরেক বের করার যন্ত্র নেই। ফলে সুপার স্পেশালিটি কিংবা মেডিক্যাল কলেজের কী বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে সাধারণের মনে।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শিশুটির ডান পায়ে পেরেক ফোটে। প্রথমে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে। অভিযোগ, এখান থেকে হয়রানির শুরু। পরিকাঠামো না থাকায় শিশুটিকে আরজি কর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে শিশু চিকিৎসক না থাকার অভিযোগ, শিশুটিকে আরজি কর থেকে এনআরএসকে রেফার করা হয়। এনআরএস থেকে শিশুটিকে মঙ্গলবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বলা হয় পেরেক বের করার যন্ত্র নেই। বুধবার ফের হাসপাতালে যেতে বলা হয়।
পায়ে পেরেক ফোটা অবস্থায় শিশুটিকে নিয়ে বুধবার সকালে আত্মীয়রা যান এনআরএস-এ। বহির্বিভাগে দেখানোর পর শিশুটিকে অর্থোপেডিকে নিয়ে যেতে বলা হয় বলে অভিযোগ। সেখানে থেকে শিশুটিকে পাঠানো হয় সার্জারি বিভাগে।
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ কামারহাটির হাসপাতালের এক্স রে-তে শিশুটির পায়ে পেরেক ফুটে রয়েছে, তা দেখা যাচ্ছে। তা সত্বেও এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কানে যাওয়ার পর শিশুটির চিকিৎসা চলছে এনআরএসেই।