ভাঙনের এই তো শুরু, বিজেপিকে ছেড়ে যাবে সবাই! হঠাৎ আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল
বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে শিবসেনার বেরিয়ে যাওয়া দিল্লি রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিজেপির সবথেকে পুরনো সঙ্গীও এবার ছেড়েছে সঙ্গ। তবে কী হবে বিজেপির! আর বছর দেড়েক পরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে শিবসেনার বেরিয়ে যাওয়া দিল্লি রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বড় পরীক্ষা শুরুর আগে এটা একটা মস্ত বড় আঘাত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন:মমতাকে পূ্র্ণ সমর্থন রাজ্যপালের, নেতাজি প্রশ্নে মিলে গেলেন রাজ্যের দুই প্রধান]
এনডিএ-তে বিজেপির সবথেকে পুরনো জোটসঙ্গী শিবসেনা। তারাই আর নেই এনডিএ-তে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, এই তো সবে শুরু হয়েছে। এরপর একে একে সবাই ছেড়ে চলে যাবে। বিজেপি-র সঙ্গে কেউ থাকবে না। একা হয়ে যাবে বিজেপি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে একা লড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় বিজেপি কার্যত অস্বস্তিতে।
এদিন শিবসেনার বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দিল্লির রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ বা তাঁদের একই মঞ্চে আনার তোড়জোড় করাই নয়, সম্প্রতি মুম্বই সফরে গিয়ে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে খুশি হয়েছিলেন শিবসেনা প্রধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খুশি হয়েছিলেন বৈঠক করে। দুই প্রান্তের দুই রাজনীতিবিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সেই জল্পনার পর এদিন শিবসেনা এনডিএ ছাড়ায় নতুন করে জল্পনার পারদ চড়ছে। দিল্লির রাজনীতিতে ২০১৯-এর আগে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে।
বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে জোট গড়ার কাজ শুরু হয়েছিল বছর খানেক আগে থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজ করছিলেন অতি সন্তর্পণে। সেই বিরোধী মঞ্চে কারা আসতে পারে, তা নিয়েও যখন জোর জল্পনা চলছে। তখন সিপিএমের পরে শিবসেনাও একপ্রকার তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা কংগ্রেসের হাত ধরবে না, তেমনই শিবসেনা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল, তারা আর বিজেপির সঙ্গে চলবে না।
[আরও পড়ুন:মমতার ফোন দিলীপকে, অস্ত্রোপচারের আগেই আরোগ্য কামনায় সৌজন্যের নজির]