যোগী-রাজ্যের বাইক আসলে উপঢৌকন! পার্থর খোঁচার জবাবে কী সাফাই দিলীপের
বিজেপির বাইক মিছিলের জন্য উত্তরপ্রদেশ থেকে বাইক এসেছে বলে অভিযোগ। সেই বিতর্ক পৌঁছেছিল আদালতের দোরগোড়াতেও। তবে তার আগেই বাইক-যুদ্ধে নেমে পড়েন দুই পক্ষের দুই দিকপাল সেনাপতি।
দুদিন বিরতির পর সংকল্প যাত্রার বাইক মিছিল শুরু হয়েছিল সোমবার থেকে। আর তা শুরুর প্রাক্কালেই নয়া বিতর্কের জন্ম দিল উত্তরপ্রদেশের নম্বরের বাইক। বিজেপির বাইক মিছিলের জন্য উত্তরপ্রদেশ থেকে বাইক এসেছে বলে অভিযোগ। সেই বিতর্ক পৌঁছেছিল আদালতের দোরগোড়াতেও। তবে তার আগেই বাইক-যুদ্ধে নেমে পড়েন দুই পক্ষের দুই দিকপাল সেনাপতি।
[আরও পড়ুন:তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ উলুবেড়িয়া, মুকুলের সভার আগে সমর্থকের বাড়িতে আগুন]
তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করেন, 'রাজ্যে ওই বাইক পাঠানো হয়েছে আসলে উপঢৌকন হিসেবে। সামনেই উলুবেড়িয়া ও নোয়াপাড়ায় উপনির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে বাইক পৌঁছে গেল রাজ্যে। এখন সেই বাইকে সংকল্প যাত্রা হবে। তারপর নির্বাচনের সময় গন্ডগোল যাত্রা করবে রাজ্য।'
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতির উসকানিমূলক মন্তব্যেরও কঠোর সমালোচনা করেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, 'দিলীপবাবু কতো সারাক্ষমই এমন ধরনের কথা বলেন, যা হিংসায় প্ররোচনা দেয়। আসলে ওরা প্ররোচনার ফাঁদে ফেলে দাঙ্গা লাগাতে চায়। দাঙ্গা লাগিয়ে ফায়দা তোলাই ওদের কাজ।'
[আরও পড়ুন:মোদীর ঘাড়ে দায় চাপিয়ে আশাকর্মীদের বার্তা মমতার, আন্দোলনে উল্টো ফলের হুঁশিয়ারি]
উত্তরপ্রদেশ থেকে বাইক আসা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাফাই, '১৫০টি বাইক প্রায় মাস তিনেক আগে এসেছিল রাজ্যে। ওইসব বাইক একটিও মিছিলে ব্যবহার করা হয়নি। আর করাও হবে না। দলেরই গোডাউনে ওইসব বাইক পড়ে রয়েছে। আমরা নম্বর বদলের জন্য আবেদনও করেছি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আবার মুকুল রায় সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর কথায়, 'উত্তরপ্রদেশের বাইক এ রাজ্যে আসতেই পারে। বাংলার বাইক যদি অন্য রাজ্যে যায়, তাহলে কি পুলিশ আটকাবে। এ রাজ্যের কেউ যদি বাইক নিয়ে বিহারের উপর দিয়ে যায়, তার বাইক কি আটকাবে ওই রাজ্যের প্রশাসন?'
[আরও পড়ুন:দু'বছরেই কারখানা, বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে জঙ্গলমহলবাসীকে কৃতিত্ব মমতার]
এইভাবেই দিনভর বাইক-বিতর্ক চলে। তবে এই বিতর্কের জেরে যোগী-রাজ্যের পাঠানো বাইক এদিন মিছিলে ব্যবহার করা হয়নি। ইউপি-র বাইকের পরিবর্তে ডব্লিউবি-র বাইকেই বিবেকানন্দের কলকাতার বাড়ি থেকে বিজেপির বাইক মিছিল শুরু হয়ে কৃষ্ণনগর পৌঁছয়। রাজ্যের ১৯টি জেলায় এই বাইক মিছিল হবে। ২০ জানুয়ারি শেষ হবে এই সঙ্কল্প যাত্রা। হাইকোর্ট এদিকে নির্দেশ দিয়েছে, যুব মোর্চার এই মিছিলে কোনও সমস্যা হলে দায় নিতে হবে বিজেপিকে।