স্বাধীনতা দিবসের পর শিক্ষক দিবস নিয়েও রাজ্য-কেন্দ্রের সংঘাত, সমালোচনায় পার্থ
স্বাধীনতা দিবসের পর শিক্ষক দিবস নিয়ে সংঘাতের পথে রাজ্য ও কেন্দ্র। শিক্ষক দিবস পালন বিতর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
স্বাধীনতা দিবসের পর শিক্ষক দিবস নিয়ে সংঘাতের পথে রাজ্য ও কেন্দ্র। শিক্ষক দিবস পালন বিতর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুলগুলিতে নয়া সার্কুলার পাঠানো নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত রাজ্য ও কেন্দ্রের। শনিবার পার্থবাবু কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'কেন্দ্রের এ সব সার্কুলার হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে। আমরা কেন্দ্রের সার্কুলার মানছি না।'
শিক্ষক দিবস নিয়ে রাজ্যের স্কুলগুলিতে নয়া নির্দেশিকা পাঠানো হয় কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে। এই নয়া সার্কুলারে লেখা হয়, শিক্ষক দিবসে স্বচ্ছভারতের উপর রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে সমস্ত স্কুলকে। আর এই নয়া নির্দেশিকা আসার পরই রাজ্যের শিক্ষা দফতর কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রের সমালোচনায়। এই বিতর্কে তারা পাশে পেয়ে গিয়েছেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবী মহলের একটা বড় অংশকে।
কেন্দ্রের এই সার্কুলার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'প্রতি বছরই রাজ্যে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। এটা নতুন কিছু নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এমন সব সার্কুলার আনছে, যেন এ ব্যাপারে অন্যরা কেউ কিছু জানে না। সবকিছুকেই হাস্যকরের পর্যায়ে নিয়ে চলে গিয়েছে কেন্দ্র।'
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের মতোই এবারও শিক্ষক দিবস পালন করা হবে। আগেই সার্কুলার জারি করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। আমরা এ বছর নতুন কিছু সংযোজনও করেছি। শিক্ষক দিবসে ছাত্রছাত্রীদের খাতা, ব্যাগ দেওয়া হবে। সেরাদের দেওয়া হবে মেডেলও।
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, চিরাচরিত যে সমস্ত জিনিস চলে আসছে, সেখানেও হস্তক্ষেপ করতে চাইছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী কেন সমস্ত বিষয়ে ব্যক্তিগত ছাপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, এর আগে স্বাধীনতা দিবস নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হয় প্রতিটি স্কুলেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ভিডিওগ্রাফি করে পাঠাতে হবে। এই নির্দেশিকার মানা হবে না বলে কড়া বার্তা পাঠানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত সাফ জানিয়ে দেন, স্কুলগুলি প্রতি বছর যেভাবে স্বাধীনতা দিবস পালন করে, এবারও তাই করবে। এবারও সেই একই বিতর্ক শিক্ষক দিবস নিয়ে।