বিসর্জনের বাজনা বাজান! সিবিআই নিয়ে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ পার্থর
দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার আবার অন্যের দোষ খুঁজছে। বিজেপিকে নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআইকে বিজেপি নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার আবার অন্যের দোষ খুঁজছে। বিজেপিকে নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআইকে বিজেপি নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পুজোর পরে এদিনই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। জানান, মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়ার শুভেচ্ছার কথা।
২০১৯-এ বিজেপি হবে ফিনিশ। পুজোর পরে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে নেত্রীর এই স্লোগানই আবার তুললেন তৃণমূল মহাসচিব। একইসঙ্গে বললেন, সিবিআই এখন বিবিআই। সিবিআই যে বিজেপি নিয়ন্ত্রিত সংস্থা তা তারা আগে থেকেই বলছেন বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার আবার অন্যের দোষ খুঁজছে। মোদী সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভা সফল করতে নভেম্বরে নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সভা হবে। সেখানে হাজির থাকবেন সাংসদ-বিধায়ক-পুর-পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। কোর কমিটির সদস্যরাও সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন। সভার প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিবিআই নিয়ে বিরোধীদের বিপদ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি মন্তব্য করেছিলেন। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন সিবিআই-এর এই অবস্থা নিয়ে আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। সিবিআই-এর যেসব কর্তাদের তৃণমূল ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিল, তাদেরই বদলি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। ভবিষ্যতে তৃণমূলের বিপদ আরও বাড়বে বলেই ইঙ্গিত করেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তারা কেউই আনন্দিত হচ্ছেন না। এর পরেই দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেন, উনি এখন থেকেই বিসর্জনের বাজনা বাজাতে পারেন। কেকনা এই রাজ্যে একটা জায়গাতেও বিজেপির ফুল ফুটবে না মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মহাসচিব।