বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে রাজভবন, রাজ্যপালের সমালোচনার জবাব পার্থর
বিদায়বেলায় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়ে। রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের পরিষদীয়মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য
বিদায়বেলায় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়ে। রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের পরিষদীয়মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল মেয়াদ থাকার সময় বলেননি এইসব কথা। এখন বিদায়বেলায় বলছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল কার্যকাল ফুরোতে এসব কথা বলছেন কেন্দ্রের কাছে নম্বর বাড়ানোর জন্য। তিনি এই কথা বলে আবার প্রমাণ করে দিলেন রাজভবনটা বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোষণের কথা বলে নিজেও তোষণ করে গেলেন কেন্দ্রের সরকারের।
পার্থ বলেন, আগে হয়তো কিছু বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ ছিল, তা বলা যায় না। কেন তিনি যাওয়ার সময় এমন মন্তব্য করে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। এই কথা অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করবে। রাজ্যপালের আসন গরিমালিপ্ত করবে না।
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল বলেন, মমতার তোষণের রাজনীতির জন্যই বিনষ্ট হচ্ছে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। একইসঙ্গে তিনি জানান বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি প্রয়োজন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত আবেগ সংবরণ করে চলা।
তিনি আর পরামর্শ দেন, তোষণ রাজনীতি ভুলে সবাইকে সমান চোখে দেখা উচিত। এদিন মমতার দূরদৃষ্টতা নিয়ে প্রশংসা যেমন করেছেন, তেমনই তাঁর বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়েও সরব হয়েছে। বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈষম্যমূলক আচরণ স্পষ্ট হয়েছে তাঁর বক্তব্যেই। সেই বৈষম্যমূলক আচরণ বর্জন করা উচিত। বর্জন করা উচিত আবেগ।