ফের কেন্দ্র-রাজ্যে সংঘাত, শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের অভিযোগে কী বললেন পার্থ
সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। সেখানে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তী পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশিকা নিয়েই বিতর্ক।
ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। দীনদয়াল উপাধ্যায় জন্মজয়ন্তী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ সম্প্রচার বিতর্কে বিরোধ বাধল কেন্দ্রের। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বার্তা আসে প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্প্রচার করতে হবে। এই ব্যাপারে কেন্দ্রের শিক্ষানীতির কঠোর সমালোচনা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, শিক্ষায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা হচ্ছে। ইউজিসি অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, তাকে তুঘলকিকাণ্ড ভিন্ন অন্য কিছু বলা যায় না।
শুক্রবার পার্থবাবু নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, শিক্ষায় রক্তিমকরণ মানেননি তাঁরা। আর আজ গৈরিকীকরণও মানা হবে না। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। সেখানে ১১ সেপ্টেম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তীতে মোদীর ভাষণ প্রতিটি কলেজে-বিশ্ববিদ্য়ালয়ে সম্প্রচার করা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়। এই নির্দেশিকা আসার পরই বিপাকে পড়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এত কম সময়ে কী করে এই ব্যবস্থা করা সম্ভব!
পার্থবাবুকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারকে কোনও চিঠি পাঠানো হয়নি। ফলে এই নির্দেশিকা মানার কোনও প্রশ্নই নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তারা ওই নির্দেশিকা মানতে পারে। কিন্তু রাজ্যের অধীন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অবশ্যই রাজ্যের অনুমোদন চাইবে। সেখানে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলিতে এই নির্দেশিকা মানার কোনও বার্তা দেবে না রাজ্য।
এদিন পার্থবাবু কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে একাসনে বসানো হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায়কে। এই সব হচ্ছে রাজ্যকে অন্ধকারে রেখেই। রাজ্যের সঙ্গে একটিবারের জন্যও কোনও কথা বলা হয়নি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে। সবকিছুই সিদ্ধান্ত নিয়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের উপর।