বিজেপিতে যাওয়ার পর মুকুলের অধঃপতন দেখছেন পার্থ, নির্বাচনী ধাপ্পায় প্রশ্নে নৈতিকতাও
শুধু নির্বাচনী বিধীভঙ্গই নয়, নৈতিকতার প্রশ্নে মুকুল রায়ের অধঃপতনও হয়েছে। ভোটে জেতালে স্মার্টফোন দেওয়ার আশ্বাসে মুকুল রায়কে এভাবেই একহাত নিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শুধু নির্বাচনী বিধীভঙ্গই নয়, নৈতিকতার প্রশ্নে মুকুল রায়ের অধঃপতনও হয়েছে। ভোটে জেতালে স্মার্টফোন দেওয়ার আশ্বাসে মুকুল রায়কে এভাবেই একহাত নিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, চাটনিদাদুর স্মার্টফোন দেওয়ার আশ্বাস পুরোটাই নির্বাচনী ধাপ্পা। এর ফলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ তো হচ্ছেই, প্রশ্ন উঠছে নৈতিকতা নিয়েও।
[আরও পড়ুন: ভোটে জিতলে স্মার্টফোন ভেট! মুকুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তৃণমূলের]
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন ফের মুকুল রায়কে চাটনিদাদু বলে কটাক্ষ করে বলেন, নির্বাচনের আগে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া চাটনিবাবু বিভিন্ন জায়গা মিটিং করে বলছেন ক্ষমতায় এলে স্মার্টফোন দেবেন। এটা একটা অদ্ভুতরকমের বিধিভঙ্গ। নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে বিজেপি বিধিভঙ্গ করছেন শুধু ভোটে জেতার জন্য।
তিনি এদিন মুকুল রায়কে হুঁশিয়ারি দেন, বাংলার মানুষ দরিদ্র হতে পারে, কিন্তু দয়ার পাত্র নন। কোনও অবস্থাতেই তাঁরা প্রলোভনের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। এটা একটা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপি নেতারা ধর্মের নামে জুজু দেখাচ্ছে, প্রচুর পুস্তিকা বিলি করছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা এটাও জানিয়েছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহার করা অভিযোগেরও জবাব দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করার জন্য যা নয় তাই করতে চাইছে বিজেপি। এখন আবার বিজেপির নেতা বলছেন নির্বাচন কমিশনারকে মৃত্যুভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। এই ধরনের কথা হঠাৎ বলার কতটা সত্যতা আছে, তা আমি জানি না। তবে এই কথা শোনার পর নির্বাচন কমিশনারের অন্তত প্রতিবাদ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
[আরও পড়ুন:নদিয়ায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব, শিলাবৃষ্টির জেরে ফসলহানিতে মাথায় হাত চাষিদের]