বর্ষবরণে তৈরি পার্কস্ট্রিট! কড়া নজরদারি শহর জুড়ে
রাত পোহালেই নতুন বছর। সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট। সঙ্গে নিরাপত্তার বন্দোবস্তও সাড়া। পার্কস্ট্রিট-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে কলকাতা পুলিশের গাড়ি।
রাত পোহালেই নতুন বছর। সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট। সঙ্গে নিরাপত্তার বন্দোবস্তও সাড়া। পার্কস্ট্রিট-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে কলকাতা পুলিশের গাড়ি। পার্কস্ট্রিটে মোতায়েন থাকছে ১৩ টি কুইক রেসপন্স টিম, ১৪ টি হাই রেডিও ফ্ল্যাইং স্কোয়াড, ১৬ টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ। বসানো হয়েছে ১১০ টি সিসি ক্যামেরা। পার্কস্ট্রিটের পাশাপাশি ইকোপার্ক ও নলবনেও থাকছে নজরদারি।
২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর একটু অন্যরকম থাকে পার্কস্ট্রিট। ফলে নিরাপত্তার নজরদারি শুরু হয়েছিল ২৫ ডিসেম্বরের আগে থেকেই। তবে দুটি বিশেষ দিনের একটি অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর আগের চলে গিয়েছে প্রায় নির্বিঘ্নে। এবার ৩১ ডিসেম্বরের পালা।
বর্ষবরণ উপলক্ষে কলকাতা তথা রাজ্যের মানুষের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও আসেন। তাঁরা গির্জার পাশাপাশি যান বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। ফলে অন্যবারের মতো এবারেও আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ ও ওয়াচ টাওয়ারের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। রয়েছে সিসিটিভির নজরদারি। কোনও কিছু ঘটলে তা সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে।
শ্লীলতাহানি রুখতে কলকাতার মহিলা পুলিশের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উইনার্স টিম সক্রিয় থাকছে। সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিও থাকছে। বর্ষবরণের রাতে শহরে বাইক বাহিনীর তাণ্ডব রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলমেটহীন বাইকবাহিনী দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি বা বাইক চালালেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাব, পানশালা, রেস্তোরাঁগুলিতে থাকছে বাড়তি নজরদারি। শহরের বহুতলের ছাদ থেকেই থাকছে বাড়তি নজরদারি। ড্রোনের মাধ্যমে চলবে নজরদারি।
নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, চিনার পার্ক, সেক্টর ফাইভ, লেকটাউন, রাজারহাটে।