পরেশ রাওয়ালের ‘বাঙালি-বিদ্বেষী’ মন্তব্য, সেলিমের এফআইআর তলব তালতলা থানায়
সম্প্রতি গুজরাতের ভোট প্রচারে গিয়ে অভিনে্তা পরেশ রাওয়াল ‘বাঙালি-বিদ্বেষী’ মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর সেই মন্তব্যেপ জেরেই তলব।
সম্প্রতি গুজরাতের ভোট প্রচারে গিয়ে অভিনে্তা পরেশ রাওয়াল 'বাঙালি-বিদ্বেষী' মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে শুধু সমালোচনা করেই ক্ষান্ত না থেকে কলকাতায় পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তালতলা থানা তলব করল পরেশ রাওয়ালকে।
গুজরাতে ভোট প্রচারে গিয়ে বাঙালিদের মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন পরেশ রাওয়াল। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ১২ ডিসেম্বর দুপুর দুটোর মধ্যে থানায়. হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে সেলিম অভিযোগ করেন, বাঙালি ভিনরাজ্যেও বসবাস করেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে করেই এই মন্তব্য করেন পরেস রাওয়াল। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্ম সেলিমের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ আইপিসির বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছে।
গুজরাতের একটি নির্বাচনী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে পরেশ রাওয়াল বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এরপর অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে এরপর কলকাতার তালতলা থানায় মামলা দায়ের করে মহম্মদ সেলিম বলেন, বাঙালি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য পেশ করেছেন তিনি। তাঁর বাঙালি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
মঙ্গলবার গুজরাতের ভালসাদ জেলায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেশি, কিন্তু দাম কমবে। মানুষও কর্মস্ংস্থান পাবে। কিন্তু রোহিঙ্গা অভিবাসী ও বাংলাদেশীরা যদি দিল্লির মতো আপনাদের আশেপাশে বসবাস শুরু করে তাহলে কী হবে? গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কী করবেন, বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন!
তাঁর এই মন্তব্য ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়ে। তাঁর এহেন মন্তব্যের কারণে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা পরেশ রাওয়াল টুইটারে গিয়ে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। সেইসঙ্গে এটাও স্পষ্ট করেন যে, বাঙালি বলতে তিনি অবৈধ ও বাংলাদেশিদের বোঝাতে চেয়েছেন। তবুও সমালোচনা থামেনি। বাঙালিরা গর্জে ওঠেন তাঁর বিরুদ্ধে।
এরপরই পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারা মোতাবেক দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশে উস্কানি, ১৫৩এ ধারায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা, ১৫৩বি ধারায় ভাষাগত বা জাতিগত গোষ্ঠীর অধিকার অস্বীকার করা, ৫০৪ ধারায় উস্কানির উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত অপমান করে শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা ও ৫০৫ ধারায় জনসাধারণের দুর্ভোগের উদ্দেশ্যে বিবৃতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন সেলিম। মহম্মদ সেলিম তালতাল থানায় গিয়ে বৃহস্পতিবারই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর ওই বক্তব্য বাঙালিদের বিরুদ্ধে ঘৃণার অনুভূতি প্রচার করছে বলে অভিযোগ। তারপর তালতলা থানা তাঁকে ১২ ডিসেম্বর তলব করল। এখন দেখার কী ব্যবস্থা নেন পরেশ রাওয়াল। তিনি তালতলা থানায় উপস্থিত হন কি না?