খড়গপুর আইআইটি ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগ এনে বিশেষ তদন্তের দাবি অভিভাবকদের
খড়গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংযের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ আনলেন অভিভাবকরা। শুধু অভিযোগ করেই তাঁরা ক্ষান্ত হননি, মৃত ছাত্রের অভিভাবকরা বিশেষ তদন্তের দাবিও জানান।
খড়গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংযের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ আনলেন অভিভাবকরা। শুধু অভিযোগ করেই তাঁরা ক্ষান্ত হননি, মৃত ছাত্রের অভিভাবকরা বিশেষ তদন্তের দাবিও জানান। উল্লেখ্য, আইআইটির ওই তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফৈজান আহমেদের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল পুলিশ।
২৩ বছর বয়সী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা আইআইটি খড়গপুরের ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি আত্মহত্যা নয়, এটি একটি খুনের ঘটনা। গত ১৪ অক্টোবর খড়গপুর আইআইটির হোস্টেলের ঘর থেকে তাঁর অর্ধ-পচা দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তা আত্মহ্ত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করলেন, পরিবারের লোক অভিযোগ করে তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ তদন্তের দাবিতে আবেদনও জানানো হয়েছে।
ফৈজানের পরিবারের পক্ষ থেকে সিআই বা বিশেষ তদন্তকারী দলের তদন্ত দাবি করা হয়েছে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংযের ছাত্র ফৈজানের বাবা সেলিম আহমেদ ও মা রাহানা আহমেদ কলকাতা হাইকোর্টে এই আবেদন করেন। ফৈজান তাদের একমাত্র সন্তান বলে উল্লেখ করেন দম্পতি। তাঁদের একমাত্র ছেলের মৃত্যুর কারণ তাঁরা জানতে চান।
অভিভাবকরা আরও জানান, তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল যে, ফৈজান মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তাই তাঁদের ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁরা জানান, ফৈজান ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে। এই ব়্যাগিংকে তাঁরা অ্যাসিমিলেশন প্রোগ্রাম নামে ভূষিত করেছেন। ফৈজান সেখানে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে এই আবেদনের শুনানি হবে। অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা ফৈজান। ফৈজান সম্প্রতি হোস্টেলে চলে এসেছিল তিনসুকিয়া থেকে। তারপরই ঘটল এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মৃত্যুর বিস্তারিত তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। ফৈজানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে অসমেও।
সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন ইনস্টিটিউটে একের পর আত্মহত্যা ও রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার বাহুল্য দেখা দিয়েছে। গত মাসে দুটি মৃথক ক্যাম্পাসে দুই আইআইটি ছাত্রকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ১৫ সেপ্টে্ম্বর চেন্নাইয়ে আইআইটি মাদ্রাজে এক স্নাতক ছাত্রকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ১৭ সেপ্টেম্বর আইআইটি গুয়াহাটিতে এক ছাত্রকে তার হোস্টেল রুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সেপ্টেম্বরেই হায়দরাবাদ এবং কানপুরের আইআইটি ক্যাম্পাস থেকে দুদিনে দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এ বছরে জুলাই মাসে আইআইটি মাদ্রাজের হকি স্টেডিয়ামে ২২ বছর বয়সী এক ইঞ্জিনিয়ারকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।