একদিকে বৃষ্টিসুর, অন্যদিকে পুজোমণ্ডপে নো-এন্ট্রি আশঙ্কায় এদিন থেকেই ভিড় পুজো মণ্ডপে
একদিকে বৃষ্টিসুর, অন্যদিকে পুজোমণ্ডপে নো-এন্ট্রি আশঙ্কায় এদিন থেকেই ভিড় পুজো মণ্ডপে
প্রথম থেকেই আবহাওয়া দফতর জানান দিচ্ছিল এ বছর পুজো ভাসবে বৃষ্টিতে, তারি দোসর হলো পুজোয় নো এন্ট্রি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ। পুজোয় বৃষ্টি হবে পুজোয় দর্শকশূন্য মন্ডপ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপের ঢুকে ঠাকুর দেখার সুযোগ থাকবে না এই আশঙ্কায় এদিন থেকেই কলকাতার সব মণ্ডপের দরজা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দিল পুজো উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি, রাত জেগে ঠাকুরও দেখা যাবে। তাই আতঙ্ককে সঙ্গী করেই তৃতীয়াতেই শহরের রাজপথে নামলো মানুষের ঢল।
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং মধ্য কলকাতা তেও একই চিত্র। সে কারণেই উৎসুক ময়দানে নেমে পড়েছে পুলিশও। নগরপাল অনুজ শর্মা সমস্ত বিভাগীয় ডিসিদের সতর্ক থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অতিমারী পরিস্থিতিতে ট্রাফিক-সহ সমস্ত বিভাগের পুলিশকর্মীদেরই ডিউটি করার সময় মাস্ক, ফেসশিল্ড, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে গত ৮ মাস যাবত্ কলকাতা পুলিশের সর্বস্তরের কর্মীরা একেবারে সামনে থেকে লড়াই করছেন। খোদ নগরপাল থেকে শুরু করে বহু পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১৩ জন মারাও গেছেন। এমন পরিস্থিতিতেই দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কোভিড-আবহে কীভাবে সতর্ক থেকে কাজ করতে হবে সে ব্যাপারে পুলিশের পদস্থ কর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন। আলাদা করে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
লালবাজার
সূত্রের
জানা
গিয়েছে,
শহরের
ন'টি
ডিভিশনে
তুলনামূলক
ভাবে
বড়
পুজোমণ্ডপে
পুলিশ
মোতায়েন
করা
হচ্ছে।
এর
মধ্যে
কলকাতা
পুলিশের
ইস্ট
ডিভিশনে
চারটি,
সাউথ
ওয়েস্ট
ডিভিশনে
তিনটি,
সাউথ
সুবার্বান
ডিভিশনে
চারটি,
সাউথ
ডিভিশনে
পাঁচটি,
সাউথ
ইস্ট
ডিভিশনে
ছ'টি,
নর্থ
ডিভিশনে
ছ'টি,
সেন্ট্রাল
ডিভিশনে
তিনটি,
ইস্টার্ন
সুবার্বান
ডিভিশনে
দু'টি
এবং
পোর্ট
ডিভিশনে
একটি
পয়েন্টে
পুলিশি
ব্যবস্থা
করা
হচ্ছে।
এর
প্রতিটি
পয়েন্টে
এক
বা
সংলগ্ন
একাধিক
পুজো
রয়েছে।
১৯
জন
সহকারী
কমিশনার
পদমর্যাদার
অফিসার
গোটা
বিষয়টি
তদারকি
করবেন।
৭ জন ডেপুটি কমিশনার থাকবেন গোটা কলকাতার পুজোর ভিড় ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ দেখভালের জন্য। ১১টি অয়্যারলেস ভ্যান পথে থাকবে। কেউ জখম হলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৪টি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ২৪ ঘণ্টাই মজুত থাকবে হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য। পুজোর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করার জন্য গোটা কলকাতা জুড়ে ৮৯টি অতিরিক্ত ক্লোজড সার্কিট টিভি বসানো হয়েছে। সকাল থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ পথে থাকবে। ২৬টি পুলিশ কন্ট্রোল রুম ভ্যান রাখা হবে।৫২টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। ডিউটিতে থাকা প্রতিটি পুলিশ কর্মীকেই সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভিড় কোনওভাবে যাতে জড়িয়ে না যায়, তা দেখতে হবে। এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে।
পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থীদের বক্তব্য হাইকোর্টের এই নির্দেশ আগামীকাল থেকে কার্যকর হয়ে গেলে কেউ পূজো দেখতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঢুকতে পারবো না। তাই এখন থেকে ঘুরে দেখতে বেরিয়ে পড়েছি। এছাড়াও পুজোর ক'দিন ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আবহাওয়া ভালো থাকায় সপরিবারে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন উৎসবমুখর বাঙালি।
বিশ্বভারতীতে করোনা আতঙ্ক, সংক্রমিত উপাচার্য সহ ১৬ জন